• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিদেশি ব্লাকরাইস ধান চাষে কৃষকের চমক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২২, ০৩:০৮ পিএম

বিদেশি ব্লাকরাইস ধান চাষে কৃষকের চমক

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এই প্রথম বিদেশি (ইন্দোনেশিয়ান) ব্লাকরাইস ধান চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন মো. শফিকুল ইসলাম বাবু (৩৬) নামে এক কৃষক। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর দেওয়ানিপাড়া গ্রামের কৃষক। বিদেশি এই চাল সহজে পাওয়া যায় না, কোথাও পাওয়া গেলেও দুর্লভ এই চালের কেজি ৮শ টাকা। উপজেলার মধ্যে এই প্রথম কৃষক শফিকুল ইসলাম বাবু পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, কৃষক শফিকুল ২২ শতকের জমিতে এ ধান চাষ করে তিনি এখন আশার আলো দেখছেন। উপজেলার মাটিতে প্রথমবারের মতো বিদেশি এই ধানের চাষ আগ্রহ বাড়িয়েছে অনান্য কৃষকদের মাঝেও। ধানের বীজ ও চাষের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল জানান, এই ধান নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখে ব্লাকরাইস সম্পর্কে জানতে পারি আমি। এরপর অনেক খোঁজাখুজির পর চট্টগ্রাম থেকে ধানের বীজ এনে চাষাবাদ শুরু করি। ৫০০ গ্রাম ধান এক হাজার টাকা নেয়। যার ১ কেজি চালের মূল্য ৮০০ টাকা। ধানের ফলন ভালো, সময় অল্পতেই অধিক ফলন পাওয়া যায়। ৯০ দিন পূর্তি হলেই ধান কাটা যায়। এই ধানে সার ও বিষ ব্যবহার না করলেও চলে। পোকামাকড়ের কোনো বালাই নেই। ফলন প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ হতে পারে। এই ধানের (ব্লাক রাইস) বৈশিষ্ট্য হলো-এর গাছ, পাতা দেখতে স্বাভাবিক ধানগাছের মতো হলেও ধানের শিষ এবং চাল সবকিছুই লালচে কালো ও চিকন। এ চাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই এ চালের দামও বেশি। এমন একটি ধান সৈয়দপুরে প্রথম কাজ করতে পেরে আনন্দের যেন কমতি নেই কৃষক শফিকুল ইসলাম বাবুর

এ ধানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিজেন থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক পরিষ্কার করে ও শরীর হতে দূষিত পদার্থ বের করে শরীরকে ফুরফুরে রাখে। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। কালো চাল ডায়েবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক।

এ বিষয় কথা হয় উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মমতা সাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, ব্লাক রাইস ধান বিদেশি জাত। যদিও সরকারিভাবে দেশে এখনো এর চাষাবাদ শুরু হয়নি। সৈয়দপুরে এই জাতের ধানের চাষ এই প্রথম। ভালো ফিডব্যাক পেলে তা উপজেলার অনান্য জায়গাতেও চাষাবাদ করা হবে।

 

এসএএস/এএল

আর্কাইভ