প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২২, ০১:৩২ এএম
সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর বলেছেন যে যার জায়গায় আছি সেখান থেকে দেশ উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
তিনি বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে জয়েন্ট অ্যাকশন ফর নিউট্রিশান আউট কাম (জানো) প্রকল্প আয়োজিত “পুষ্টি উন্নয়নে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন। দিনব্যাপী ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ইকু হেরিটেজ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের মিলনায়তনে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা রহমান। কর্মশালাটির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন জানো প্রকল্পের সিনিয়র টিম লিডার নাজনিন রহমান।
দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী ভাষণে আসাদুজ্জামান নুর বলেন, দেশে সর্বপ্রথম পুষ্টি কার্যক্রম চালু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের পর একটি দেশ ধংশস্তুপ থেকে জেগে উঠেছে তখন বঙ্গবন্ধু অস্বচ্ছল শিল্পীদের জন্য তহবিল গঠন করছেন। অস্বচ্ছল খেলোয়াড়দের জন্য তহবিল গঠন করছেন। শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। পুষ্টি আমাদের জাতীয় বিকাশে কতটা গুরুত্ব রাখে তা অনুধাবণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, আপনারা তৃণমুলের সংবাদ সরকারকে জানাচ্ছেন। আমাদের কর্মসূচীগুলো জনসম্মুখে তুলে ধরছেন। প্রতিটি ভালো কাজে আপনাদের অংশগ্রহণ আছে।
আসাদুজ্জামান নুর বলেন, করোনাকালে যখন সবকিছু বন্ধু ছিল তখন অনলাইনে খাবারের অর্ডার করা এক অভ্যাসে পরিণত হয়। ওই খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর তা আমরা ভেবে দেখিনি। গরুর মাংস খাচ্ছি এটা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা ভেবে দেখছি না। আমরা যা বলি তা নিজেরাই মানছি না। পুষ্টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সচেতনতামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের আহবান জানান তিনি।
গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করায় তিনি জানো প্রকল্প উন্নয়ন সংস্থা, কেয়ার বাংলাদেশ, প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও ইএসপিওর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
কর্মশালা সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফায়সাল রায়হান, সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলেমুল বাশার, নীলফামারী সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শান্তনা চক্রবর্তী প্রমুখ।
প্রসংগত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো অপারেশনের অর্থায়নে রংপুর ও নীলফামারী জেলায় ৭টি উপজেলায় জানো প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কর্মশালায় রংপুর ও নীলফামারী জেলার ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।
এসএই