• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতা হিরণের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২২, ১২:০২ এএম

ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতা হিরণের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের বহুল আলোচিত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঝিনাইদহ সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঝিনাইদহ দুদুকের নতুন অফিস স্থাপনের পর এটিই প্রথম মামলা বলে জানা গেছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয় আসামী শহিদুল ইসলাম হিরণ এক কোটি ৩৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এই সম্পদ আয় করতে তিনি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। এজাহার সুত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম হিরণ ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল এবং ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৯ নং পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি নিজে ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে ১৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৩৩ টাকার জমি এবং এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা মুল্যমানের বাড়ি নির্মাণসহ এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৩ টাকা। স্থাবর, গাড়ি, ব্যাবসায়ীক পুজি, ইলেক্টিক, ইলেকট্রনিকস ও আসবাবপত্রসহ মোট ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন।

এ সকল সম্পদ অর্জনের উৎস হিসেবে সম্মানী ভাতা, গৃহ সম্পত্তি, কৃষি ও জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৪৫ লক্ষ ৪৬ হাজার এক’শ টাকার আয় পাওয়া যায়। পারিবারিকসহ অন্যান্য খাতে শহিদুল ইসলাম হিরনের ব্যায় পাওয়া যায় ১৬ লক্ষ ৬ হাজার ৪৩০ টাকা। আয় থেকে তার ব্যায় বাদ দিলে তার সঞ্চয় থাকে ২৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৭০ টাকা। যার বিপরীতে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় এক কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ টাকা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এ ক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে এক কোটি ৩৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩৩৩ টাকার অসঙ্গতিপুর্ন ও জ্ঞাত আয়ের উৎস্য বহির্ভুত সম্পত্তি পাওয়া যায়, যা তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে প্রতীয়মান হয়। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ করায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য এর আগে প্রথম অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দুদকের যশোর অফিসের সহকারি পরিচালক শহিদুল ইসলাম মোড়ল ও দ্বিতীয় অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে সহকারি পরিচালক মোশাররফ হোসেন দায়িত্ব পালন করেন। মামলার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরন বলেন, “একটি মহল তাকে হয়রানী করার জন্য ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে এই মামলা করিয়েছে।” মামলাটি মিথ্যা ও অসঙ্গতিপুর্ন দাবি করে তিনি আইনগত ভাবে এই মামলা মোকাবেলা করবে বলে জানান।

 

এসএই

 

 

 

 

 

 

 

  
 

আর্কাইভ