প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২২, ১১:৩৯ পিএম
শিশু সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার দায়ে হামিদা আক্তার (২৭) নামের এক মাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পঞ্চগড়ের একটি আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এই মামলার অপর দুই আসামি হামিদা আক্তারের মা খোদেজা বেগম এবং বাবা হাসান আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিছুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত হামিদা আক্তার পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার দোহসুও গ্রামের অধিবাসি। মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ৮ মাস বয়সী শিশু ইমরান আলীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির চাচা মজনু মিয়া আটোয়ারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। জানা গেছে, জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার লতিফগছ গ্রামের আতারুল ইসলামের সঙ্গে হামিদার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এসময় ইমরানের বয়স ছিল ৮ মাস। বিচ্ছেদের পর হামিদা ইমরানকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। এর চার দিনের মাথায় হত্যা করা হয় শিশু ইমরানকে।
মামলার বাদী মজনু মিয়া বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে হামিদার বিচ্ছেদের চারদিন পর খবর পাই ইমরান মারা গেছে। আমি আমার পরিচিত কয়েকজনকে নিয়ে সেখানে ছুটে যাই। সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি ইমরানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে বিষয়টি আমি থানা পুলিশকে অবগত করে একটি অপমৃত্যুর মামলা করি। মামলা দায়েরের পর তদন্তে নামে পুলিশ।
ঘটনার পরপরই হামিদা এবং তার মা খোদেজা বেগমকে আটক করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য আদালতে প্রতিবেদন আকারে জমা দেন ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিজের সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ করা মামলাটি আদালতে চলমান ছিলো। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা মেলায় আদালত প্রধান আসামি হামিদা আক্তারকে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করে।
এসএই