প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২২, ০৫:০৯ পিএম
নীলফামারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে মঞ্জুরীকৃত ৮ পদের বিপরীতে ৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী দিয়ে চলছে কেন্দ্রটি। বাকি ৪ পদেই শূন্য। ফলে রোগীরা মাতৃকালীন সেবা থেকে একেবারেই বঞ্চিত হচ্ছে।
শূন্য ৪ পদের মধ্যে মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) (অ্যানেসথেসিয়া) একজন, ভিজিটর দুইজন, (ক্লিনার) পরিচ্ছন্নতা কর্মী একজন। আর কর্মরত ৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে কর্মরত আছেন, মেডিকেল অফিসার ক্লিনিক্যাল একজন, ভিজিটর দুইজন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী একজন।
ওই কেন্দ্রে ২০ শয্যার ওয়ার্ডে সিজারের জন্য রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। কিন্তু চিকিৎসক সংকটে সেটির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার গর্ভবতী মায়েরা। অজ্ঞান চিকিৎসক না থাকায় সদর উপজেলার প্রায় চার লাখ মাতৃকালীন রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ক্লিনিক্যাল ডা. রোকসানা বেগম বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর/১৯ তারিখ অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক পদটি শূন্য হয়। তখন থেকে গর্ভবতী মায়েদের সিজার বন্ধ আছে। এরমধ্যে ডিপুডিশনে দু,একজন চিকিৎসক এলেও তারা বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যান। তিনি বলেন, তিন বছর অধিক সময় থেকে অজ্ঞান চিকিৎসক নাই।
ওই চিকিৎসক না থাকায়, প্রতিদিন ৪-৫ জন গর্ভবতী মাকে সিজারের জন্য বাহিরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে যেতে হয়। পাশাপাশি, অকেজো হয়ে পড়ে আছে সিজারের মহামূল্যবান যন্ত্রপাতি। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ রোগীর স্বজনরা। অপরদিকে, লাভবান হচ্ছে বেসরকারি ক্লিনিকের মালিকরা। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সরেজমিনে গেলে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। অ্যানেসথেসিয়া সেবা থেকে বঞ্চিত গর্ভবতী মাকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মোটা অংকের টাকা গুনতে হচ্ছে।
অপরদিকে, পুরো হাসপাতালে নেই উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ক্লিনিকে আনসার (ভিডিপি) ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকতা ডা. রোখসানা বেগম জানান, রবি, সোম ও বুধবার গর্ভবতী চেকআপ। আর বাকি তিনদিন সাধারণ রোগী।
সোমবার মহিলাদের স্থায়ী পদ্ধতি ও মঙ্গল, বুধবার ইমপ্ল্যান্ট পড়ার কাজ করতে হয়। আবার আউটডোরে রোগী দেখা শেষ করে ইনডোরে নরমাল ডেলিভেরি করতে হয়। এ ছাড়াও ডেলিভেরির জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ফলে বর্হিবিভাগের (আউটডোর) রোগীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। চিকিৎসক স্বল্পতাও একটি বড় সমস্যা বলে মনে করেন তিনি।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক জানান, ৮ কর্মকর্তা কর্মচারীর পদ থাকলেও আছে মাত্র ৪ জন। কোনোভাবেই এত কম সংখ্যক জনবল দিয়ে সেবা দেয়া সম্ভব না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনবল নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এএল/