প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২২, ০৮:৩৪ এএম
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে লক্ষীপুরে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক টাওয়ার ভেঙে প্রায় ৩৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৫ টার পর লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুতের দেখা মিলেছে।
এর আগে সোমবার ভোর ৪ টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেছে। এরপর থেকে প্রায় ৩৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে লক্ষ্মীপুর।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতেও অন্ধকারে বিচারকার্য চালাতে দেখা গেছে। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিনের কক্ষে মোমবাতি জ্বলতে দেখা যায়। চকবাজার মসজিদ মার্কেট, তমিজ মার্কেট, হকার্স মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেটে ব্যবসায়ীর ক্রেতা শূন্য অন্ধকার দোকানে বসে থাকতে দেখা গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল সীমের নেটওয়ার্ক বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন পুরো জেলাতেই একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
পিডিবি কার্যালয় সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঝড়ো বাতাসে নোয়াখালী থেকে লক্ষ্মীপুরের বিদ্যুতের ৩ কেভি সংযোগ তারে গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সদর উপজেলার জকসিন এলাকায় বিদ্যুতের টাওয়ার ভেঙে গেছে। শহরের সমসেরাবাদ এলাকায় পানি ট্যাংকির সামনে পিলার ভেঙে যায়। এতে বিদুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। রামগঞ্জ গ্রীড থেকে পিডিবি কার্যালয়ে সংযোগ নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধান করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার চেষ্টায় কাজ করছেন তারা।
মিষ্টি দোকানের ব্যবসায়ী রতন দাস বলেন, `দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। এতে মিষ্টি ও দধি নষ্ট হওয়ার পথে। বেচাবিক্রিও নেই।`
টেলকম ব্যবসায়ী রফিক রকি বলেন, `আমাদের পুরো কাজ বিদ্যুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। মোবাইলে চার্জ নেই। চার্জ থাকলেও নেটওয়ার্ক নেই। ফটোস্ট্যাট মেশিন চালাতে পারছি না। এজন্য লোকজন এসে ফিরে যাচ্ছেন।`
লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামিম ফরহাদ বলেন, `ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুতের টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। তা ঠিক করা হচ্ছে। ঠিক হলেই দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হবে।`
এসএএস