প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২, ১০:০০ পিএম
মানিকগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নারাঙ্গাই এলাকায় মঙ্গলবার ভোর রাতে একটি বাড়িতে তিতাস গ্যাসের বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজনসহ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন চারজন।
আহতরা হলেন- রাশেদ মিয়া (৩৮), তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২৫) ও শিশু পুত্র রিফাত হোসেন (৩) ও কর্মচারী ফারুক মিয়া (৩৭)।
গুরুতর আহত অবস্থায় মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাশেদ মিয়া, সোনিয়া আক্তার ও রিফাত হোসেনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফারুক মিয়া মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চিকিৎসাধীন ফারুক মিয়া জানান, ঝড় বৃষ্টির কারণে রাতে বিদ্যুৎ ছিল না। তাই রাতে তারা দশটার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে বাসায় তিতাস গ্যাসের লাইনের চুলা চালু ছিল। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় গ্যাসে ভরে যায়। ভোরে ঘুম থেকে উঠে তার মালিক বিছানায় বসেই সিগারেট ধরানোর জন্য ম্যাচ জ্বালায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘরের দেয়াল, দরজা ধসে পড়ে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের লিডার বশির উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিস্ফোরণের কারণে ঘরের জানালা ও একটি পার্টিশন ওয়াল ভেঙ্গে পড়ে।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এ কে এম রাসেল বলেন, মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে রাশেদ মিয়া, সোনিয়া আক্তার ও শিশু রিফাত হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে আরেকজন দগ্ধ ফারুক মিয়া ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এএল/