প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২, ০৪:২০ এএম
ভোলার মনপুরা উপকূলে সন্ধ্যার পর থেকেই বাতাসের তীব্রতা বেড়ে গেছে। বাতাসের গতি বেড়ে যাওয়ায় মুল ভূ-খন্ডের বাহিরের বাসিন্দারা দলবেঁধে আশ্রয়কেন্দ্রে দিকে ছুটতে দেখা গেছে। এছাড়াও কোথাও কোথাও গাছ-পালা পড়ে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো উপকূল জুড়ে।
এদিকে মূল ভূ-খন্ডের বেড়ীবাঁধের বাহিরে বসবাস করা সকল বাসিন্দাদের সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশিষ কুমার।
তিনি জানান, রাতে ৬০ সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেয়া সকলের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ৪ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
এছাড়াও বিচ্ছিন্ন সোনারচরে আটকা ৩ মহিষের বাতানসহ এক বনকর্মীকে উদ্ধারে কোস্টগার্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও। নদী উত্তাল থাকায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে জানান তিনি।
এদিকে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদকে সোনারচর গ্রামের বাহিরে অবস্থান করা বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্র যাওয়ার ও সর্তক করতে মাইকিং করতে দেখা গেছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া ইসমাইল মাঝি, বৃদ্ধ ছলেমান, রহিমা বেগমসহ আরোও অনেকে জানান, ৭০ সালের বন্যায় সময় এত বাতাস হয়নি। বাতাসের তীব্রতায় ভয় পেয়ে গেছি। আল্লাহ সকলকে যেন হেফাজত করে।
সন্ধ্যার পর সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাতাসের তীব্রতায় সড়কে গাছ-পালা পড়ে রয়েছে। এতে সড়কে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও বেড়ীর বাহিরে অবস্থান করা শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলে দলবেঁধে আশ্রয়কেন্দ্রে দিকে ছুটছে। ভুতড়ে অন্ধকারে ও বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। জরুরীভিত্তিতে উপকূলের সকল স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে মানুষ দলবেঁধে আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে পশ্চিম পাশের মেঘনার পানি থমথমে অবস্থায় থাকলেও পূর্বপাশের মেঘনার পানি বেড়ীবাঁধ ছুঁই ছুঁই অবস্থায় রয়েছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশিষ কুমার জানান, ৪টি মেডিকেল টিম সহ ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সকলে সর্তক অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণীঝড় মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এআরআই