প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২, ০৩:৫৪ এএম
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করছে লক্ষ্মীপুরের নিমাঞ্চল গুলোতে। এরই মধ্য চরগজারিয়া, ভয়ারচর,তেলিরচর, বড়খেরী,চরআলেকজান্ডার,সাহেবেরহাট,পাটওয়ারী,চররমনী মোহন, চরগাসিয়াসহ বেশকিছু এলাকা জোয়ারে পাঁচ থেকে সাত ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। গঠন করা হয়েছে ৬৬টি মেডিকেল টিম। চরাঞ্চল থেকে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদের আশ্রয় কেন্দ্র আনতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
লক্ষ্মীপুর ভোলা এবং বরিশাল নৌরুটে ফেরী,লঞ্চসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করছে বিআইডাব্লিউটিএ। সোমবার ভোররাত থেকে বন্ধ রয়েছে নৌ-যোগাযোগ। বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিন্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
নিম্নচাপের প্রভাবে রবিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বইছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। রামগতি আবহাওয়া অফিস জানায়, এটি উপকূলে আবারও আঘাত হানতে পারে।
জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ১৮৫টি আশ্রয়নকেন্দ্র,৬৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ২৬০ মে.টন চাল,নগদ টাকা ও শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।’
ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদের আশ্রয় কেন্দ্র আনতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ঘূণিঝড় মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।এছাড়া জেলা ও উপজেলায় কন্টোলরুম খোলা হয়েছে।
এসএই