প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ১০:০৩ পিএম
বাগেরহাটের রামপালে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১১টা ৩০ মিনিটে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিবুল আলম এর সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মানুষের জানমাল ও গবাদিপশু রক্ষার জন্য এ উপজেলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি স্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে। বাকিগুলো অস্থায়ী কলেজ, স্কুল ও মাদরাসা। আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা প্রায় ৭০ হাজার। ২০০ জন সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে ও সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরতদের জন্য শুকনা খাবার, মোমবাতি ও দিয়াশলাই পাঠানো হয়েছে। ১০ ইউনিয়নে ১০ টি মেডিকেল টিম, ১ টি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মতিউর রহমান জানান, আমাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। যা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিবুল আলম এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং থেকে মানুষের জানমান রক্ষায় আমরা ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সার্বিকভাবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। প্রয়োজনে নৌ বাহিনীও জরুরি পরিস্থিতিতে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। সন্ধ্যার মধ্যে সকলকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঝড়ের গতি প্রকৃতির ওপর গভীরভাবে নজর রাখা হচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোংলা সমুদ্র বন্দর ও এর আশপাশের এলাকাসমূহকে ৭ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে।
এসএই/এএল