প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ০৭:০৫ পিএম
খুলনার কয়রা উপজেলার হরিণখোলা এলাকায় ধসে গেছে প্রায় ২০০ মিটার বাধ। সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে ভাটার টানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এই বাধ ধসে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বর্তমানে স্থানীয় নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ছে। রাতের জোয়ারে বাধের অনেক স্থানে পানি উপচে প্রবেশ করেছে। এলাকার নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা রাতেই তাদের ঘরের আসবাবপত্র ও গবাদি পশু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে স্থানীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বাড়বে। প্লাবিত হতে পারে উপকূলীয় এলাকা।
হরিণখোলা এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘বাধের এ অংশ ভাঙলে উপজেলা পরিষদসহ আশপাশের ১০ থেকে ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়বে। বাধের যে অংশ ধসে গেছে, সেখানে কয়েক মাস আগে সংস্কারকাজ হয়েছে। কিন্তু আগেই চরের মাটি ধসে যাওয়ায় এ মুহূর্তে মূল বাধে ধস নেমেছে।’
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান জানিয়েছেন, উপজেলায় ১১৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও খাবার পানি মজুত রাখা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা এবং চাপে অনেক স্থানের দুর্বল বাধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যেকোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’
এআরআই