• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও গোলাগুলি, ঘর ছাড়ল ১৫০ পরিবার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২, ১০:৫৮ পিএম

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও গোলাগুলি, ঘর ছাড়ল ১৫০ পরিবার

বান্দরবান প্রতিনিধি

আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে । এ ঘটনায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে সীমান্ত এলাকার দেড় শতাধিক পরিবারকে ।

শনিবার (২২ অক্টোবর) সীমান্ত এলাকায় বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত গোলাগুলি বাড়তে থাকে। মর্টার শেল এবং গুলির বিকট শব্দে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার। তিনি বলেন, ‘শনিবার সকালে ফের গুলির শব্দ শোনা যায় চাকঢালা ও দৌছড়ি সীমান্তের ওপারে। যদিও বিকালের দিকে চাকঢালা সীমান্তের ৪৩ ও ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের ছেড়ার মাঠ এলাকায় গোলাগুলির পরিমাণ বেড়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে বিকট শব্দে মর্টার শেল এবং গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আতঙ্কিত দেড়শ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’

ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘সীমান্তে অবস্থানকালে মনে হচ্ছিল, গুলিগুলো যেন মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পরও সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌসের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমরান বলেন, ‘শনিবার সকালে দৌছড়ি সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে দুপুরের পর দৌছড়ি সীমান্তে আর গোলাগুলি হয়নি। দৌছড়ি সীমান্ত থেকে কোনো জনসাধারণকে সরানো হয়নি।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, হেডম্যানপাড়া এবং দৌছড়ি ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে মিয়ানমার বাহিনীর দুই মাস ধরে সংঘাত চলছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর ব্যবহৃত যুদ্ধ বিমান এবং ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপ করা গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। মাঝেমধ্যেই মর্টার শেলের গোলা এবং ভারী অস্ত্রের গুলি এসে পড়ছে ঘুমধুম সীমান্তে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর উড়ে এসে পড়া মর্টার শেলের গোলা বিস্ফোরিত হয়ে শূন্য রেখায় আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। এতে আহত হয় আরও পাঁচজন।

এআরআই

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ