প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২, ১০:৫৬ পিএম
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এগিয়ে আসার খবরে শংকায় রয়েছেন সুন্দরবন উপকূলের মানুষ। দুবলারচর অঞ্চলের সাইক্লোন শেল্টার জরাজীর্ণ হওয়ায় জেলে বনরক্ষীরা আতংকে রয়েছেন বলে জানা গেছে। আবহাওয়া অধিদফতর ৩ নং সতর্ক সংকেত জারী করেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবন উপকূলের জনজীবন ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সিডর,আয়লা,বুলবুল ও আমফানের মত প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে সহায় সম্পদ হারানো উপকূলের মানুষ ও জেলে মৎস্যজীবিরা। আবার ঝড়ের খবরে আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
সিডর বিধস্ত শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগী গ্রামের জেলে মাহবুব বলেন,ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পেলে আমরা আতংকিত হয়ে পড়ি।
দুবলা ফিসারমেন গ্রুপের প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর রহমান শামীম বলেন, “ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সুন্দরবন উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার খবর পাওয়ার পর, জেলে মতস্যজীবি ও বনকর্মীদের মাঝে আতংক ছড়িয়েছে।”
দুবলারচরের আলোরকোল,মেহেরআলী, মাঝেরচর,অফিসকেল্লা ও শ্যালারচরের সাইক্লোন শেল্টার জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে মেহেরআলী সাইক্লোন শেল্টার ও দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির অফিসভবন বঙ্গোপসাগরে বিলীন হয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যপার মাত্র।
ফিসারমেন গ্রুপের প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক জানিয়েছেন,প্রয়োজনীয় সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় ঝড়ের সময় জেলেরা নৌকা ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনের ছোট খালের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, “দুবলা অঞ্চলে বিদ্যমান ৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১টি টহল ফাঁড়ির ভবন অত্যন্ত নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর খবর পেয়ে সুন্দরবনের সকল স্টেশন ও টহল ফাঁড়িকে আগাম সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং আবহাওয়া দপ্তর বিপদ সংকেত জারী দেখালে সেক্ষেত্রে সাগরতীরবর্তী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের নিকটস্থ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।
এসএই