• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে উঠেছে ইটভাটা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২২, ০২:৪৮ এএম

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে উঠেছে ইটভাটা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। সেখানে ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি চলছে জোরে সোরে । কিন্তু এই ইটভাটা আইন ভঙ্গ করে কি ভাবে স্কুলের পাশে স্থাপিত হলো তার কোন সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছে।

অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করে মিজানুর রহমান মধু নামে এক ব্যক্তি স্কুলের পাশে ইটভাটা গড়ে তুলেছে। এই ইটভাটার কারণে সমস্যা শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরই নয়, আশপাশের বসবাসরত মানুষেরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

শিক্ষকদের অভিযোগ, স্কুলের সীমানার খুব কাছেই গড়ে তোলা হয়েছে ইট ভাটাটি। যেখানে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরী হচ্ছে। এই ভাটার কালো ধোঁয়া আর উড়ে আসা ধুলাবালি বিদ্যালয় ভবনে প্রবেশ করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। এতে প্রায় সময় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

আর ভাটার পাশে বসবাসরত বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাটা চালু হলে ঘরবাড়িতে ধুলা-বালির স্তুপ পড়ে যায়। এমনকি ধুলা-বালির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু ও বৃদ্ধরা।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) ২০১৯ অনুযায়ী, বিশেষ কোন স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা অনুরূপ কোনো স্থান বা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। কিন্তু শৈলকুপার শ্রীরামপুর গ্রামের মদনডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়ক ঘেঁষে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশেই ইটভাটা গড়ে উঠেছে। বর্তমানে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২‍‍`শর অধিক। জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধরা হয় বসন্তপুর হাইস্কুলকে। এই স্কুলের পাশেই শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।

এলাকাবাসী বলেছেন, এক বছর আগে হঠাৎ ইটভাটার কাজ শুরু হয়। মিজানুর রহমান মধু ভাটাটি প্রতিষ্ঠা করেন।  ভাটাটি বিদ্যালয় ও বসতবাড়ীর পাশে হওয়ায় বিদ্যালয়ে পাঠদান ও বাড়িতে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইটভাটা মালিক মিজানুর রহমান মধু জানান, আমি যথাযথ নিয়ম মেনেই ভাটা নির্মাণ করেছি। এখানে কারোর কোন অসুবিধা হচ্ছে না।

ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শৈলকূপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ বনি আমিন জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা তৈরী করা বেআইনী ও দুঃখজনক। এতে করে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি বলেন সরেজমিন তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।       

এসএই  

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ