প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২২, ০৯:৫৭ পিএম
নীলফামারীর সৈয়দপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া হেলমেট বাহিনী দুটি পরিবারের ওপর নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। এদের তাণ্ডবে পরিবার দুটির বসতঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সত্তরোর্ধ এক নারীসহ পরিবারের শিশু সদস্যরাও।
এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেখে তৎক্ষণাৎ গ্রামবাসী জোটবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসেন। এ সময় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সটকে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কিসামত কাদিখোল সরকার পাড়ায়। এ ঘটনায় নীলফামারী আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
খবর পেয়ে ওই ঘটনার দুই সপ্তাহ পর শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে সে দিনের ঘটনার ভয়াবহ চিত্র চোখে পড়ে। হেলমেট বাহিনীর তাণ্ডবে গুঁড়িয়ে দেয়া পরিবার দুটির বসতঘর, রান্নাঘর ও গোয়ালঘর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এখনো বাড়ির আসবাবপত্র, শিশুদের বইপত্র, তৈজসপত্রগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পায়ে গুরুতর জখম নিয়ে ঘরের ভিটেতে শুয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা মতিফুল বেগম।
মামলার সূত্র মতে, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সরকার পাড়ার সহোদর বাবুল হোসেন ও আব্দুস সামাদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল প্রতিবেশী হাজি আশরাফ আলীর পরিবারের সঙ্গে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে উভয়ের মধ্যে আদালতে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। ঘটনার দিন ২৯ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষের একটি মামলায় নীলফামারী আদালতে হাজিরা দিতে যান ভুক্তভোগী পরিবার দুটির সদস্যরা। আর এ সুযোগে প্রতিপক্ষ আশরাফ আলীর ছেলে গোলাম কিবরিয়া ভাড়াটিয়া হেলমেট বাহিনী সঙ্গে নিয়ে ওই পরিবার দুটির বাড়ি-ঘরে অতর্কিত হামলা চালায়।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী মোকছেদুল ইসলাম ও আছিয়া বেগম জানান, ঘটনার দিন প্রায় ২০-২৫ জনের একটি দল আকস্মিক ওই বাড়ি দুটিতে হামলা করে। মাথায় হেলমেট ও মুখোশ পরিহিত হামলাকারীদের হাতে ছিল দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র। দিবালোকে মোটরসাইকেলে এসে এমন হামলা ফিল্মি স্টাইলকেও হার মানিয়েছে।
পরে ওই দুটি পরিবারের নারী ও শিশুদের আর্তচিৎকারে গ্রামবাসী জোটবদ্ধ হয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। কিন্তু তার আগেই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় পরিবারের বসতবাড়ি।
এএল/