প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২২, ০৯:৪২ পিএম
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের ওয়েম্যান মোল্লা রোবহান উদ্দিন কর্তৃক অবৈধভাবে দখলে নেয়া পিডব্লিউআই (পারমানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টর) অফিস ও চারটি গোডাউন ঘরের দখল ছাড়েনি দীর্ঘ ছয় মাসেও।
যদিও পিডব্লিউআই (পারমানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টর) অফিস ও চারটি গোডাউন ঘর দখলে নেয়ার অভিযোগে তাকে গত ১ আগস্ট সৈয়দপুর থেকে হিলিতে বদলি করা হয়েছে। একজন রেলওয়ে কর্মচারী কর্তৃক একটি সীলগালা করা রেলওয়ের অফিস ও চারটি গোডাউন ঘর দখলে নেয়া এবং সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করার ঘটনায় শহরের জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে ওয়েম্যান মোল্লা বোরহান উদ্দিনের খুঁটির জোর নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগে সৈয়দপুর শহরের স্টেশন রোডে রেলওয়ে মাঠের সামনে রেলওয়ে পিডাব্লিউআই (পারমানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টর)অফিস ছিল। গত প্রায় তিন বছর আগে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (পথ) পিডব্লিউআই-এর জন্য রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি নতুন অফিস নির্মাণ করা হয়। আর পিডব্লিউআই-এর পুরাতন অফিস ও চারটি গোডাউন ঘর সিলগালা করে রাখা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, সিলগালা করে রাখা রেলওয়ের পুরাতন পিডাব্লিউআই অফিস ও চারটি গোডাউন ঘর গত ছয় মাস আগে একই অফিসের কর্মচারী মোল্লা মো. বোরহান উদ্দিন (ওয়েম্যান গ্যাং নং-৩/ পিসি) তার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলগালা ভেঙ্গে প্রকাশ্যে সে সব দখলে নেয়। পরবর্তীতে তিনি অফিস ও গোডাউন ঘরগুলো আবাসিকে পরিণত করে সেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এ ঘটনায় সে সময় ওয়েম্যান মোল্লা বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) মো. শরিফুল ইসলামের নিকট ওই অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ওয়েম্যান মোল্লা বোরহান উদ্দিনকে গত ২৮ জুলাই সৈয়দপুর রেলওয়ের পিডব্লিউআই অফিস থেকে হিলিতে বদলি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম ওই বদলির আদেশ দেন।
বদলির নির্দেশ পেয়ে গত ২ আগস্ট পাকশী রেলওয়ের আওতাধীন হিলি পিডব্লিউআই অফিসে ওয়েম্যান (গ্যাং নং- ৬/ এসপি) হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এর আগে গত ১ আগস্ট তাকে (মোল্লা বোরহান উদ্দিন) সৈয়দপুর পিডব্লিউআই অফিসের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সুলতান মৃধা তাকে রিলিজ দেন।
তবে ওয়েম্যান মোল্লা বোরহান উদ্দিন তার দখলে থাকা সৈয়দপুর রেলওয়ে পিডব্লিউআই-এর পুরাতন অফিস ও গোডাউন ঘরের অবৈধ দখল ছাড়েনি, তা তাকে রিলিজ করা কাগজপত্রে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর গত ছয় মাস অতিবাহিত হলেও ওই দখলদার রেলওয়ে কর্মচারী মোল্লা বোরহান উদ্দিন তার দখলকৃত পিডব্লিউআই অফিস ও চারটি গোডাউন ঘরের দখল ছাড়েনি অদ্যাবধি। এ বিষয়ে ওয়েম্যান মোল্লা বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সেটি আমার নামে বরাদ্দের জন্য গত ১৪ মার্চ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী (কার্য) বরাবরে আবেদন করেছি।
তা ছাড়া অফিস ও গোডাউন ঘরগুলোর দরজা-জানালা চুরি হয়ে যাওয়ার পর বহিরাগতরা যেন দখল করতে না পারে সে জন্য ভবনগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয় অফিস। তাই সেখানে পরিবার নিয়ে অবস্থান করছি। দখলে নেয়ার মিথ্যা অভিযোগ করছেন ওই কর্মকর্তা।
এএল/