প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২২, ০৮:০৩ পিএম
বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে দুই দিনের বাস ধর্মঘট চলছে খুলনায়। এদিকে বাসের পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধ করার দাবিতে খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডাকে। এরপর ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘট শুরু করেছেন যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো। এর ফলে ২টি রুটে ৬টি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন লঞ্চ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, শনিবার খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডেকেছে।
তবে বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে বাস বন্ধ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তারা মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট করছেন। তাছাড়া সমাবেশকে ঘিরে বাস ভাঙচুর হতে পারে বলেও আশংকা আছে।’
তবে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি বলছে, সরকারের নির্দেশে নয়, মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধের দাবিতে বাস চালাচ্ছেন না তারা।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, ‘বাস ধর্মঘট ডেকেছেন মালিকরা। এতে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা নেই।’
এদিকে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ভোর থেকে অনেক যাত্রী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ছোটখাটো অন্য যানবাহনে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসে খুলনায় আসতে পারছেন না।
জানা গেছে, সব পথে গাড়ি বন্ধের ঘোষণা থাকলেও ঢাকা-খুলনা রুটের বাস যশোর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত যাবে। সাতক্ষীরামুখী যেসব বাস যশোর হয়ে চলে সেগুলো চলবে। তবে যেগুলো খুলনা হয়ে চলে সেগুলো বন্ধ থাকবে। মূলত খুলনায় কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে এবং খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটের গাড়ি ছেড়ে যাবে না এই দুই দিন।
এআরআই