• ঢাকা বুধবার
    ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি ৫ দিন পর গ্রেফতার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২২, ০৬:২৯ পিএম

আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি ৫ দিন পর গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া ডাকাতি মামলার আসামি আজিজুল শেখ (৩৯) গ্রেফতার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর তাকে ঢাকার ধামরাই থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার জলিরপাড় গুচ্ছগ্রামের আশ্রায়ণ প্রকল্পের ২২নং ঘরের বাসিন্দা, ফজল শেখের ছেলে আজিজুল শেখ। সে একাধিক নামে আশিক, আশিকুল নামেও পরিচিত। তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানা, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ও দামুড়হুদা থানায় হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। 

২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর আজিজুল চুয়াডাঙ্গার ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামে একটি ডাকাতি ঘটনার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেফতার হন। সেই থেকে তিনি কারাগারে আবদ্ধ ছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১টার দিকে আজিজুলকে চুয়াডাঙ্গা কারাগার থেকে আদালতে আনার সময় আদালত চত্বরে কারাগারের আসামি বহন করা গাড়ি থেকে নেমে হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে যান আজিজুল শেখ। তারপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেফতারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একাধিক দল’।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আদালত চত্বর থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে ঘটনার দিনই এটিএসআই মো. আনোয়ার হোসেন, কনস্টেবল মিলন হোসেন ও নারী কনস্টেবল বেনজির নাহারকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। 

কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির ও রিজার্ভ অফিসের আরওআই আব্দুল বারেক। পুলিশ সুপার জানান, পালিয়ে যাওয়া আসামির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, চুরিসহ ১৪টি মামলা আছে। 

প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামে একটি ডাকাতির মামলায় কারাগারে আটক আসামি আজিজুল শেখসহ অন্য কয়েকজন আসামিকে নিয়ে আদালতের একটি প্রিজন ভ্যান চুয়াডাঙ্গা আদালত প্রাঙ্গণে আসে। 

ওই গাড়িতে আসামিদের আদালতে পৌঁছে দেয়া হয়। গাড়ি থেকে নামার পরপরই কৌশলে ডাকাতি মামলার আসামি আজিজুল হাতের হ্যান্ডকাপ খুলে পালিয়ে যায়। টানা ৫ দিন পলাতক থাকার পর আজিজুল ধরা পড়েন পুলিশের হাতে।
 

এএল/

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ