মাদারীপুর প্রতিনিধি
ভ্যানচালক মোতাহার দর্জি। গত ২৩ মে রাজৈরের মজুমদারকান্দির একটি পাটক্ষেত থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের দুদিন পরেই থানায় অজ্ঞাত আসামি করে নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেয় পুলিশ। গত ৯ জুন রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ইলিয়াস, আনোয়ার, মহিদুল ও এমারতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরেরদিনই ১০ জুন তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদের মধ্যে ইলিয়াস হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে ভ্যানচালক মোতাহার দর্জির সঙ্গে বিরোধ চলছিল একই এলাকার এমারত ফরাজীর। জমি দখল নেয়ার জন্য বিভিন্ন ফন্দি করেন এমারত। কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছিল না। জমি দখলের জন্য মোতাহারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন এমারত। দুই লাখ টাকায় চুক্তি করা হয় ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে। এর মধ্যে অগ্রিম এক লাখ টাকা তাদের দেয়া হয়।’
মোতাহার হত্যাকাণ্ডে এমারতসহ সাতজন সরাসরি অংশ নেন বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের মৃত নেছারউদ্দিন মোল্লার ছেলে ইলিয়াস মোল্লা (৪৮), একই গ্রামের রোকন মোল্লার ছেলে আনোয়ার মোল্লা (২০), জেলেম মোল্লার ছেলে মহিদুল মোল্লা (৪৮), বাসাবাড়ি গ্রামের মৃত আক্কাস ফরাজীর ছেলে এমারত ফরাজী (৫০)।
মামুন/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন