প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০২:৫৫ এএম
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় পদ বঞ্চিত হয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেয়া সেই যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন ক্ষমা চেয়েছেন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্থানীয় নেতাসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
গত রবিবার (১৬ অক্টোবর) উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খাটিয়ার হাটবাজারে দুধ দিয়ে গোসল করেন সানোয়ার। পরে গোসলের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। পদ না পেয়ে ক্ষোভে এমন কাণ্ড ঘটান। এ ঘটনায় নেতা-কর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েন সানোয়ার। পরে আজ নিজ বাড়ি থেকেই ভিডিওবার্তায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ভিডিও বার্তায় সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে কথাগুলো ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে, আমি তার জন্য ক্ষমা চাই। আমার পরিবার আজগানা ইউনিয়নে আওয়ামী পরিবার। আমার পরিবার ছাড়া এ অঞ্চলে আগে কোনও সক্রিয় আওয়ামী পরিবার ছিল না। এ দলটির জন্য আমার পরিবারের অনেক ত্যাগ রয়েছে। আমার বাবা আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে আমি দলের প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট ছিলাম। অনেক নেতা-কর্মী বলেছে তুমি নেতৃত্বে আসো। তোমার দরকার আছে। সভাপতি হতে আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেকেই বলেছে তোমারটা হয়ে যাবে। যারা গত নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে তারাই পদটা পেয়ে গেছেন। আমি রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। আমি এ কাউন্সিলের ব্যাপারে ক্ষোভে ধৈর্য্য ধরতে পারিনি। আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই। যুবলীগের ভাইদের কাছেও ক্ষমা চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার পা ধরে ক্ষমা চাই। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে না। সবাই আমার ভুলকে ক্ষমা করে দেবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
উপজেলার আজগানা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ শিকদার বলেন, ‘সানোয়ারের বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। সে যুবলীগের কোনও সক্রিয় কর্মী ছিল না। মানসিক বিকারগ্রস্ত সানোয়ার। সে বৃহৎ একটি দলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। দল তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
প্রসঙ্গত, ভাইরাল হওয়া আগের ভিডিওতে সানোয়ার বলেছিলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি নিলাম। দলের কার্যক্রমে কোনও জায়গায় নেতার সঙ্গে কোথাও যাবো না। এই আমি কান ধরে ওঠবস করলাম। জীবনে আওয়ামী লীগের কোনও অনুষ্ঠানে যাবো না। আওয়ামী লীগে থাকতে চাই না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা দল নিয়ে কথা বলেন, তারা আমার আশপাশে আসবেন না। আমাকে কেউ বিরক্ত করবেন না।’
জেডআই/