প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২২, ১২:০৩ পিএম
নিষেধাজ্ঞার দশম দিনেও কৌশলে চলছে মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকার। সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনাকারীদের তৎপরতার মধ্যেও অনেক জেলে নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করছেন। ১টার পর নদীতে অভিযান পরিচালনাকারীদের উপস্থিতি কমে যায়। তখন ইলিশ শিকারে নামেন আরও বেশি জেলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিস্তীর্ণ নদীতে জেলেরা প্রকাশ্যে জাল ফেলে ইলিশ শিকার করার পাশাপাশি নদীর তীরে এনে বিক্রি করছেন বলেও জানান মেঘনা নদীতীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গতকাল রবিবার (১৬ অক্টোবর)সকাল ১০টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর চর আবাবিল থেকে চর ভৈরবী পুরান বেড়ি থেকে কাটাখালী, চর ভৈরবী থেকে হাইমচর পর্যন্ত জেলেদের নদীতে ইলিশ শিকার করতে দেখা গেছে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ এবং কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু মেঘনা নদীর জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই শিকার করছেন ইলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মৎস্য বিভাগ কিংবা নৌ-পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও তা অপ্রতুল বলে নদীতে জাল ফেলতে সাহস পাচ্ছেন জেলেরা।
মেঘনা নদীতে একাধিক জেলের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, মাছ শিকার বন্ধ হলেও বিকল্প আয় না থাকায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল হক জানান, মা-ইলিশ সংরক্ষণে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এ বছর রায়পুরে কোস্ট গার্ডের কোনো ক্যাম্প না থাকায় নদীতে ২৪ ঘণ্টাতে অভিযান করা সম্ভব হয় না। এতে বেশ কিছু জাল ও কয়েকটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো জেলেকে আটক বা জরিমানা করা হয়নি।
এসএএস/এএল