প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২২, ০৮:১৭ এএম
টাঙ্গাইলে রাত পোহালেই জেলা পরিষদ নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের বিরুদ্ধে নিজের প্রার্থীদের সদস্য পদে জয়ী করতে রাতে ভোটের আগের রাত্রে ভোটারদের সঙ্গে রিসোর্টে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ।
রোববার (১৬ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য এবং পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলাররা কালিহাতীর এলেঙ্গা রিসোর্টে মিলিত হন।
তবে এটাকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো কারণ হিসেবে দেখছেন না টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ড. মো. আতাউল গনি।
এ সময় সেখানে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের সবার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন এবং বাসাইলের নিজ প্রার্থী হোসাইন খান সবুজের অটোরিকশা প্রতীকে এবং সখীপুর উপজেলার জেলা পরিষদ সদস্য পদে কামরুল ইসলামের হাতি প্রতীকে ভোট চান। যা আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে দাবি করেছেন বাসাইল উপজেলার জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম।
রিসোর্টটিতে সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা, পৌর মেয়র, চেয়ারম্যান, সদস্য, কাউন্সিলর মিলিয়ে দুই শতাধিক লোক সমবেত হয়েছিলেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ড. মো. আতাউল গনি বলেন, `এতে আমার কিছু করার নেই। তারা যদি গেট টুগেদার করেন তাহলে এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে মধ্যে পড়ে না। এটা তারা করতে পারেন।`
সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের বলেন, `এলেঙ্গা রিসোর্টে গিয়েছিলাম চা খেতে। খেয়ে চলে এসেছি। আমরাতো সব জায়গায় বসে চা খেতে পারি না।`
এসএএস