• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

গাইবান্ধায় আজ থেকে ইসির তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২২, ০৬:৫৯ এএম

গাইবান্ধায় আজ থেকে ইসির তদন্ত শুরু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনের ‍‍`অনিয়ম‍‍` তদন্তে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের গঠিত কমিটি আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) থেকে কাজ শুরু করবেন। রোববার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে কমিটির তিন সদস্য ঢাকা থেকে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণকালে ‍‍`বুথে ডাকাত‍‍` ও ভোট বাতিলের ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস ও মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। নির্বাচনের পরদিন গত ১৩ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, কমিটির সদস্যরা বন্ধ হওয়া ৫১টি কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অন্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলবেন। বুথে ঢুকে পড়া ‍‍`ডাকাত‍‍`দের ব্যাপারেও তথ্য নেবেন। তাদের হাতে  যেহেতু অনিয়মের ফুটেজ রয়েছে, সেহেতু কেন্দ্রের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এজেন্ট ও বহিরাগতদের ভূমিকা অবশ্যই তাদের তদন্তের  অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তদন্তকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথেও বৈঠকের কথা রয়েছে ইসির তদন্ত কমিটির সদস্যদের।

এবিষয়ে সু-শাসনের জন্য নাগরিক-সুজন‍‍`র গাইবান্ধা জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম বলেন, ‍‍`গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন বাতিলের সাহসী সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষসহ বিবেকবান মানুষদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আগামী নির্বাচনগুলোতে এ থেকে অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে বুথে ঢুকে পড়া ‍‍`ডাকাত‍‍`দের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বা শুধু একটি মাত্র কেন্দ্র থেকে মামলা করা হয় কেন তা কিছুটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে। এ সবের পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের সাদা কাগজে ভোট ‍‍`সুষ্ঠু‍‍` হওয়ার বয়ান এবং বিপরীতে ইসি‍‍`র কাছে অন্য ধরণের বক্তব্যের কারণ তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমরা তদন্ত কমিটিকে স্বাগত জানাই।‍‍`

 জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাড. এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু বলেন, ‍‍`এখন পর্যন্ত ইসির পদক্ষেপগুলোকে আমরা সঠিক বলে মনে করেছি। তারা নিশ্চয়ই সিসিটিভি ফুটেজে আমাদের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাবেন এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থক সন্ত্রাসীদের কেন্দ্র দখল, সিসিটিভি ভেঙ্গে ফেলা, রাউটার বন্ধ করাসহ ভোট জালিয়াতির প্রমাণ পাবেন।‍‍`

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব বলেন, ‍‍`তদন্ত কমিটির নির্ধারিত সাত কার্যদিবস রোববার থেকে শুরু হয়েছে। তাদের তদন্ত কাজের ধারাবাহিকতা নিয়ে চিঠি পেয়েছি। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন।‍‍`

 

এসএএস

আর্কাইভ