• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

স্পীকার-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল, অধিগ্রহনকৃত জমির ১৪ লাখ টাকা উদ্ধারের দাবী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২২, ০৮:৪৪ এএম

স্পীকার-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল, অধিগ্রহনকৃত জমির ১৪ লাখ টাকা উদ্ধারের দাবী

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভুয়া সুপারিশপত্রে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরি এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আশাদুজ্জামান কামাল এমপির স্বাক্ষর জাল করে অধিগ্রহণকৃত জমির অবকাঠামোর ১৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ১৯৯ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। শুধু স্পীকার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই নন। ওই পরিবারের অপর চার ভাই-দুই বোনের স্বাক্ষর জাল করে একটি ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে অনুরূপ প্রতারনা করছেন জালচক্রের মূলহোতা ছাইদুর রহমান ও আবুল হোসেন।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পলাশবাড়ীর জুনদহ বাজারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন আবুল কালাম আজাদ নামের এক ভুক্তভোগী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, পলাশবাড়ীর বরিশাল ইউনিয়নের পশ্চিম গোপিনাথপুর মৌজায় জাতীয় মহাসড়ক ঘেঁষে আবুল কালাম গং‍‍`দের পারিবারিক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। যার প্রকৃত জেএল নং ৮৩ হলেও জালচক্র ছাইদুর রহমান ভিত্তিহীন একটি ভুয়া জেএল নম্বর দেখিয়েছেন ৮৯। এক্ষেত্রে দায়ীত্বশীলদের ভূমিকা অসচ্ছ। অধিগ্রহনকৃত প্রকৃত জমির অবকাঠামো যাচাই-বাছাই অনেকটা দায়ী। যা শুভঙ্করের ফাঁকির অনুরূপ। ভুয়া তথ্যের সমন্বয়ে ছাইদুর রহমানকে অর্থ প্রদানের বিষয়টি সম্পূর্ণ রহস্যজনক স্বেচ্ছাচারিতা। ছাইদুর রহমান তার অপর ভাই-বোনদের সরলতার সুযোগে তাদের স্বাক্ষর জাল করে উত্তোলিত অবকাঠামোর টাকা আত্নসাত করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে অবশিষ্ট অবকাঠামোর টাকা একক ভাবে উত্তোলনের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত চালিয়ে যাচ্ছেন। আবুল কালাম আরও বলেন, ছাইদুর রহমান এসব বিষয় জানতে পেয়ে অভিনব ভিন্ন কৌশল ও চাতুরতার আশ্রয় গ্রহন করছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে চতুর ছাইদুর উক্ত টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে একটি মিথ্যা-ভুয়া চুক্তিনামা প্রদর্শন করেন। সেই সাথে ভাই-বোনদের প্রকৃত হিস্যার টাকা প্রদানে অসম্মতি জানান। এহেন জাল-ভুয়া-মিথ্যাচার ঘটনার আইনগত প্রতিকার সহ টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি সুরহায় ভূক্তভোগী মহল লিখিত অভিযোগে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের মানবিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের অভিভাবক মা আমিনা বেওয়া ছাড়াও সন্তানদের মধ্যে আবু সাঈদ, আব্দুস সালাম, আব্দুস সাত্তার, শেফালী বেগম ও বাবলু মিয়া সহ অন্যান্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, প্রকৃত পাওনা থেকে বঞ্চিত ভাই-বোনরা প্রতারক ছাইদুর রহমানের হাতিয়ে নেয়া টাকা উদ্ধারের প্রতিকার চেয়ে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

 

এসএএস
 

আর্কাইভ