প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২, ০৭:০১ এএম
দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলে ১২তম চায়ের নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। নিলামে প্রায় ৫ কোটি টাকার চা বিক্রি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত বুধবার (১২অক্টোবর) দিনব্যাপী শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রের অস্থায়ী অফিস জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের হলরুমে এ নিলাম সম্পন্ন হয়।
অকশনে কেদারপুর বাগানের চা পাতা সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি মূল্য ছিল ৩৬৮ টাকা। নিলামে শ্রীমঙ্গলের চারটি ও চট্টগ্রামের ছয়টি ব্রোকার্স হাউজ মাধ্যমে চা বিক্রি হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন বায়ার অংশ নেন । এতে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৩৫ দশমিক ৯০ কেজি চা পাতা নিলামে বিক্রি হয়। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ কোটি ২৭ লক্ষ সাত হাজার ১৮০ টাকা।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ৮০ হাজার ৫২৪ দশমিক ৪০ কেজি চা পাতা নিলামে ওঠে এবং বিক্রি হয় ৪০ হাজার ৩০৭ দশমিক ৬০ কেজি। যার বাজারমূল্য ছিল ৬২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৯০ টাকা।
শ্রীমঙ্গল চা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি চেরাগ আলী বলেন, `নিলামে সব বাগানের চা ওঠলে বায়াররা বেশি অংশ গ্রহণ করে। বিশেষ করে নিয়মিত চট্টগ্রামের ব্রোকার্সরা আসলে ভালো চা পাতা পাওয়া যায় এবং বায়াররা চা পাতা কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।`
শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও রূপসী বাংলা ব্রোকার্সের চেয়ারম্যান এস এম এন ইসলাম (সৈয়দ মুনির) বলেন, `চট্টগ্রামের বায়াররা এই নিলামে এসে শুধু চা পাতা বিক্রি করে, চা কিনছেন না। শ্রীমঙ্গলের বায়ররা তাদের কাছ থেকে চা পাতা কিনছেন। আশাবাদী ভবিষ্যতে এই নিলাম কেন্দ্রটি বাংলাদেশের সেরা নিলাম কেন্দ্র হবে।`
আনুষ্ঠানিক ভাবে চায়ের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নিলাম কেন্দ্র যাত্রা করে ২০১৮ সালের ১৪ মে । প্রায় ৫ বছর ধরে চলছে এই নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম। তবে নানা কারণে এই নিলাম চাঙা হচ্ছে না। যার ফলে শ্রীমঙ্গলের অধিকাংশই ব্রোকার্স মালিকরা গোপনে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চা বিক্রি করছেন। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং অন্যদিকে সরকার পর্যাপ্ত রাজস্ব হারাচ্ছে।
দেশের ১৬৭ চা বাগানের মধ্যে শুধু মৌলভীবাজারেই রয়েছে ৯২টি চা বাগান। এ অঞ্চলের উৎপাদিত চা কয়েক বছর আগেও চট্রগ্রামের নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে বিক্রি করতে হতো। ২০১৭ সালের ৮ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। অন্যদিকে পরিমিত বৃষ্টি ও আদ্রতা অনুকূলে থাকায় মৌলভীবাজারে চা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন হওয়ায় এ জাতীয় ভিন্নমাত্রার চা গুলো ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে । ২০২২-২৩ অর্থবছরে শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে মোট ২৩ দিন চা নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ১৭টি এবং আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ছয়টি নিলাম হবে।
এসএএস