প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২২, ১২:০২ এএম
গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগে জিএমপি সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানের নেতৃত্বে একদল বিএনপি নেতাকর্মী বিনা অনুমতিতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ী সড়কে অবস্থান করে অবরোধ সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে মহানগর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতাকর্মীদেরকে সড়ক থেকে অবস্থান সরিয়ে নিতে এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানান। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে সেখানে সমাবেশ করতে থাকে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ে ও পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে এবং জানমাল রক্ষা করার জন্য লাঠিচার্জ এবং শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত বহুসংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এক নারীসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জিএমপি সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন জানান, জিএমপি সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এ মামলায় পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হামলার সময় পুলিশ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এক নারীসহ এজাহারনামীয় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) আদালতে হাজির করা হবে। ঘটনার জড়িত অন্যান্য আসামিদের নাম ঠিকানা জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ নানা ইস্যু নিয়ে আন্দোলনে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী নিহতের স্মরণে জেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে স্মরণসভা ও শোক র্যালির আয়োজন করা হয়। বিষয়টি আমরা পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শোক র্যালি বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় এবং ব্যানার কেড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে এবং বেদম লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে পুলিশ দলীয় অফিস ও নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ালসেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে।’
এএস