• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রেমের টানে আরেক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী বাংলাদেশে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২, ০২:৩২ এএম

প্রেমের টানে আরেক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী বাংলাদেশে

দেশজুড়ে ডেস্ক

চলতি বছরের মার্চে প্রেমের টানে বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরে ছুটে এসেছিলেন ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামের এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী। ছয় মাসের ব্যবধানে সেই ইন্দোনেশিয়া থেকেই আরও এক তরুণী বাংলাদেশে এসেছেন। সিতি রাহাইউ নামের এই তরুণীও লক্ষ্মীপুরের তরুণ মামুন হোসেনের প্রেমে পড়েছেন। অবশ্য তারা দুজনই মালয়েশিয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।

শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে মালয়েশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন তারা দু’জনই। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামে মামুনদের বাড়িতে যান।

সিতি রাহাইউ ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ে বসবাসকারী মৃত জুমিরান ও রাতনারিং দম্পতির মেয়ে। তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানীতে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মামুন হোসেন রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহ ও সেতারা বেগমের ছেলে। তিনিও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

মামুন জানান, ২০১৭ সাল থেকে তাদের পরিচয় ও প্রেম করার পর বিয়ের জন্য মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাড়ি জমান সিতি রাহাইউ। এক মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন তারা। ছুটি শেষে চলে যেতে হবে আবার মালয়েশিয়া। সিতি রাহাইউও বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী।

মামুনের বাবা রফিক উল্লাহ জানান, এখানে আসার পর থেকে পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গেছে সিতি। সবাইকে আপন করে নিয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্বজন ও গ্রামের মানুষ ভিড় করছে পুত্রবধূকে দেখার জন্য।

সিতি জানান, মামুনের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন। তিন লাখ টাকায় দেনমোহরে মামুনের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনি এ দেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ।

জেডআই/

আর্কাইভ