রাজবাড়ী প্রতিনিধি
পেশায় দিনমজুর শহর আলী (৭৫)। স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে নিয়ে থাকেন তিনি। এই দম্পতির রয়েছে মাত্র একটি ছেলে সন্তান। তবে বিয়ের পর থেকেই আলাদা থাকে এই দম্পতির ছেলে স্বপন।
বয়সের ভারে আর কোনো কাজ করতে পারেন না শহর আলী। যে কারণে কোনো আয়ও নেই। আয়-রোজগার না থাকায় খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে চলছে দুজনের সংসার। নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড চেয়েছিলেন শহর আলী। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখে ভাতা পাওয়ার বয়স হয়নি বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, শহর আলীর জন্ম তারিখ ১৮ আগষ্ট ১৯৬৩। স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের জন্ম তারিখ ১৭ মে ১৯৫২। অন্যদিকে ছেলে স্বপনের জন্ম তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭। এ হিসেব অনুসারে শহর আলীর বয়স ৫৮ বছর, তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের বয়স ৬৯ বছর। আর ছেলে স্বপনের বয়স ৫৪ বছর। এ অনুযায়ী বাবা শহর আলীর থেকে তার স্ত্রী ১১ বছরের বড়। আর ছেলের সঙ্গে বয়সের পার্থক্য মাত্র চার বছর।
ঘটনাটি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের। এখানেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন শহর আলী।
সিটি নিউজ ঢাকাকে শহর আলী বলেন, 'জাতীয় পরিচয়পত্রে আমি ছাড়া বাকী দুজনের বয়স ঠিকই আছে। আমি মূর্খ মানুষ। লেখাপড়া জানি না। ভালোমন্দ কিছু বুঝিও না। এটা কীভাবে ঠিক করব তাও জানি না।'
এ বিষয়ে নারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী শহর আলীর বয়স ৬৫ বছর হয়নি। যার ফলে সে বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আমার পক্ষ থেকে যা করণীয় সেটা করব।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, 'জন্মতারিখ সংশোধন করতে গেলে কিছু প্রমাণ দিতে হয়। সেক্ষেত্রে বিয়ের কাবিননামা, ভাই-বোন বা আপনজনের কার্ডের ফটোকপি নিয়ে আসতে হবে। এসব মিলিয়ে দেখে যদি সত্যিই গরমিল থাকে তাহলে সংশোধন করা যেতে পারে।'
মামুন/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন