প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২, ১১:১৪ পিএম
মাগুরার শ্রীপুরে নিজেকে ওসি পরিচয় গ্রামের দুই ব্যক্তির বিবাদ মিটিয়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আবুল কাশেম ও আলমগীর বিশ্বাসের উপর। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সোনাতুন্দী এলাকা থেকে তাদের দুজনকে আটক করা হয়। শুক্রবার শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাব্বারুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক আবুল কাশেম শ্রীপুর উপজেলার ৭ নং শব্দালপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এছাড়া আটক আলমগীর বিশ্বাস সোনাতুন্দী গ্রামের পাঞ্জাব আলী শেখের ছেলে।
প্রতারণার শিকার লিমন বিশ্বাস জানান, ‘গত মাসের ২২ তারিখে আমার ছেলে বাঁধন বিশ্বাসের সাথে চাচাতো ভাই জিহাদ বিশ্বাসের ছেলে সজন বিশ্বাসের মারামারি হয়।’এই ঘটনায় আমরা উভয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পরবর্তীতে গত মাসের ২৫ তারিখে আমরা উভয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে নেই। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় আলমগীর আমাকে ফোন করে থানার ওসি পরিচয় দেয় এবং আমার কাছে নগদ অর্থ দাবি করে। সেই সাথে নানা রকম গালিগালাজ ভয় ভীতি দেখায়। আমি আটকের ভয়ে মায়ের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তাকে বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করি। এছাড়া আমার চাচাতো ভাই জিহাদ বিশ্বাসের ভগ্নিপতি মিন্টুকে একই কাদায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে সেও বিকাশের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা প্রদান করে।’
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাব্বারুল ইসলাম জানান, সোনাতুন্দী গ্রামের লিমন ও জিহাদ নামে দুই ব্যক্তির মধ্যে তাদের ছেলেদের মারামারিকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাঁধে। এ ঘটনায় উভয়েই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের বিরোধ মিটিয়ে দেয়ার কথা বলে ও আটকের ভয় দেখিয়ে শ্রীপুর থানার ওসি পরিচয় দিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। পরে উপায়ন্ত না দেখে তারা প্রতারক ব্যক্তিদেরকে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রতারক দুই ব্যক্তিকে আটক করি। এ বিষয়ে আবুল কাশেম ও আলমগীর বিশ্বাসের নামে ভুক্তভোগীরা থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন।
এআরআই