প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ১০:২৮ এএম
দুবাইতে আরও ৮৫০ বাংলাদেশির সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।যাদের সম্পদ আছে তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা। এসব ব্যক্তিদের পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দ্বারস্থ হয়েছে। পাশাপাশি চলছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কাজ।
অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছেন এমন একজন টাস্কফোর্সের সদস্য জানান, সাবরেজিস্ট্রি অফিসগুলোর সীমাবদ্ধতার কারণে অর্থ পাচারকারীদের সম্পত্তির তথ্য সংগ্রহ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে এরা সম্পদ গড়েছে। এদের সম্পদের তথ্য জানাতে নিবন্ধন অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েও কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্প্রতি প্রকাশিত অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে দেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। স্থানীয় মুদ্রায় যা ২৮ লাখ কোটি টাকা। এই অর্থ গত ৫ বছরে দেশের জাতীয় বাজেটের চেয়ে বেশি। আলোচ্য সময়ে প্রতি বছর পাচার হয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, দুবাইতে বাংলাদেশি আরও ৮৫০ জনের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যেগুলো তারা রিটার্নে প্রদর্শন করেননি। এ ধরনের ব্যক্তিদের সম্পদ অনুসন্ধানে দুটি টিম দুবাই যাবে। তাদের কাজ হচ্ছে তালিকা মোতাবেক অনুসন্ধান এবং সম্পদ ফেরত আনার ব্যবস্থা করা।