প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২২, ১১:১৬ পিএম
রাঙ্গামাটির সাজেকে যাওয়ার পথে নন্দারাম এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। যানচলাচল স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আকতার জানান সেনাবাহিনীর সহায়তায় সাজেকে সাড়ে ছয় ঘন্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
রুমানা আক্তার বলেন, সাজেকে পাহাড়ধসের কারণে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক দুইপাশে আটকা পড়েছিল। পরে সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবির সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয়রা মাটি সরানোর কাজে নেমে পড়েন। দুপুর আড়াইটার দিকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এখন কোনো সমস্যা নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ধসের ঘটনায় রাস্তার দুইপাশে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক আটকা পড়েন। মঙ্গলবার রাতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। মাটি সরাতে বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই সেনাবাহিনী কাজ করে।
মেঘের রাজ্য হিসেবে পরিচিত রাঙামাটি সাজেক ভ্যালি। বন্ধের দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারনায় মুখর থাকে। সনাতম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা ও সরকারি বন্ধের কারণে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীর আশা করেছিলেন সাকেজ কটেজ মালিকরা। তবে পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই পাড়ে কয়েক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। এর ফলে ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তাদের।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, সকালে পাহাড়ধসের ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। সাজেক এলাকায় প্রায় ছোট-বড় মিলে ২০০ গাড়ি রয়েছে, যা গতকাল এসেছিল। আজ সকালে অনেকেরই চলে যাওয়ারও কথা ছিল কিন্তু পাহাড়ধসের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সবাই আটকা পড়ে। দুপুরের দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হলে গাড়ি ছাড়তে শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সাজেক এলাকায় প্রায় ছোট-বড় মিলে ২০০ গাড়ি রয়েছে। যা গতকাল এসেছিলো। বুধবার সকালে অনেকের চলে যাওয়ারও কথা ছিল কিন্তু গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় এখন সবাই আটকে আছে। আমাদের এখানে ১১২টি কটেজ আছে। সব মিলে প্রায় ৪ হাজার পর্যটক থাকতে পারেন।
জেডআই/