প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২২, ০৯:১১ এএম
শেরপুরে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকার স্কুলছাত্র লাবন হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ২ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া সদর থানায় এক প্রেসব্রিফিং এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, `লাবন, নয়ন, হৃদয়, মনির, আসলাম পরস্পর বন্ধু ও খেলার সাথী। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে হাডুডু খেলা দেখার পর নয়ন, হৃদয়, মনির, আসলাম বেড়িবাঁধে বসে গল্প করে। কিছুক্ষণ পর লাবন বেড়িবাঁধের উপর বন্ধুদের রাখে জঙ্গলদী বাজারে ড্যান্ডি গাম কিনতে যায়। লাবন কয়েকটি ড্যান্ডি গাম কিনে ফের বেড়িবাঁধে আসে। এসময় সব বন্ধুরা নেশা করার উদ্দেশ্যে ড্যান্ডি গাম সেবনের জন্য বসলে লোকজন দেখে চলে যায়। পরে রাতে জনৈক জাফর মিয়ার লেবুর বাগানের ভেতরে বসে ড্যান্ডি গাম সেবন করার জন্য প্রতিজন একটা একটা করে পলিথিনে ড্যান্ডি গাম ভরে নেশা করে। একপর্যায়ে নয়ন, হৃদয়, মনির, আসলাম, লাবন নেশাগ্রস্ত হয়ে মারামারি করতে শুরু করে। মারামারির একপর্যায়ে লাবন মাটিতে পড়ে গেলে মনির লাবনের গলা চাপিয়া ধরে, আসলাম মুখ চাপিয়া ধরে, হৃদয় লাবনের পা চাপিয় ধরে। তখন নয়ন লাবনকে থাপ্পর মেরে ডান হাত চেপে ধরে নির্মমভাবে হত্যা করে। এসময় সব বন্ধুরা ঘটনাস্থলে লাবনে রেখে চলে আসে এবং হত্যাকান্ডের ঘটনাটি গোপন করে স্বাভাবিকভাবে পরের দিন স্কুলে যায়।`
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ হান্নান মিয়া বলেন, প্রথমে ঘুঘুরাকান্দি এলাকা থেকে নয়ন ও হৃদয়কে আটক করা হয়। পরে তাহাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পরে তাদেরই দেওয়া তথ্য মতে ঘটনাস্থল হইতে আসামীদের সেবনকৃত ড্যান্ডি গামের ১২টি মোড়ক উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয় এবং হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী আসলাম ও মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঘুঘুরাকান্দি মডেল একাডেমি থেকে দুপুরে বাড়ি ফিরে। পরে বিকেলে বাড়ির পাশে খেলাধুলা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। বুধবার সকালে বাড়ির পাশেই জেঠা জাফরের লেবুর বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসএএস