প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৬:৩১ পিএম
হালুয়াঘাট প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে বসতভিটায় তাণ্ডব চালিয়েছে বন্যহাতির দল। এতে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের কড়ইতলী এলাকার গৃহবধূ সাহেরা খাতুনের বাড়িতে গতকাল ভোর রাতে তাণ্ডব চালায় বন্য হাতির দল। এ সময় বাড়ির উঠানের কাঠাল গাছসহ দুইটি ঘর পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩৫-৪০টি বন্য হাতির দল গত ১৫-২০ দিন ধরে উপজেলার কড়ইতলী এলাকার সীমান্তবতর্তী পাহাড়ের ঢালে অবস্থান করছে। সন্ধা হলেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে হাতির দলটি। হানা দেয় ফসলী জমি। গত কয়েকদিনে কড়ইতলী, লক্ষ্মীকুড়াসহ কয়েকটি এলাকায় মানুষ রাত জেগে পাহাড়া দিয়েও রক্ষা করতে পারছে না ফসলী জমি। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ একর সবজি ও আমান ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতির পাল। এ নিয়ে বিপাকে আছেন কৃষকরা। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কড়ইতলী এলাকার গৃহবধূ ছাহেরা খাতুনের বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়ে তার থাকার ঘর ও রান্না ঘর ভেঙে তছনস করে দেয়। এ সময় বাড়ির আঙিনায় থাকা ফলের গাছসহ বিভিন্ন গাছ নষ্ট করেছে। এতে তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন।
গৃহবধূ ছাহেরা বলেন, হাতির চিৎকার শুনেই আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে দৌড়ে পালিয়েছি। এ সময় আমার থাকার ঘরটি হাতির দল ভেঙে ফেলেছে। পরিবার নিয়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে রাত কাটিয়েছি।’ কৃষক আবু শাহ আলম বলেন, হাতির দল আগুন ও মানুষ দেখেও ভয় পায় না হইহুল্লা করেও কাজ হয় না। আমরা এখন নিরুপায়। স্থানীয় লোকজন জানান, গত কয়েতদিনে হাতির আক্রমণে ২ জন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ের হামলায় আহতও হয়েছেন। হাতির তাণ্ডব যেন থামছেই না। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বন বিভাগ আর প্রশাসন হাতি তাড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় বারবার একই ঘটনা ঘটছে।
জানতে চাইলে ভুবনকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম সুরুজ মিয়া বলেন, এক মাস ধরে এলাকার লোকজনের ঘুম নেই। মানুষ এখন আতঙ্কে দিন পার করছেন। ফসল তো সব শেষ এখন আজ এই বাড়ি তো কাল ওই বাড়িতে হানা দিচ্ছে হাতি, লোকজনের কষ্টের শেষ নেই। বনবিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মাজহারুল জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
এএল
