• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত‍্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ১১:৪৮ পিএম

গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত‍্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে নয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল, তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

রায়ের কপি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে আসামিরা রাতভর ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী হয়ে পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ‘২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামিরা ধর্ষণের পর হত্যা করে। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হয়ে ফাঁসি হলে খুশি হতাম। তারপরও শাস্তি হয়েছে এতে আমি খুশি।’

ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ‘১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ে পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে আদালত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।’     

আর্কাইভ