• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

নোয়াখালীতে সমৃদ্ধি কর্মসূচির পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণী সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ১০:০১ পিএম

নোয়াখালীতে সমৃদ্ধি কর্মসূচির পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণী সভা অনুষ্ঠিত

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা পরিচালিত সমৃদ্ধি কর্মসূচির পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা বিআরডিবি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মুক্তিযুদ্ধকালীন হাতিয়ার ডেপুটি কমান্ডার ও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল আলম বলেছেন, সমৃদ্ধি কর্মসূচির মূল লক্ষ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ মানব মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হবে। সমৃদ্ধি কর্মসূচির মূল লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা  ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ মানব মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হবে।

রফিকুল আলম আরও বলেন, যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পর বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে গ্রামে ফিরে এসে কাজ শুরু করেছিলাম হাতিয়ায়। সংস্থার নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমে ও আন্তরিকতায় দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা আজ ৬টি জেলায় কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত  বাংলাদেশ পূনর্গঠনের লক্ষ্যে দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা ১৯৮২ সালে বিচ্ছিন্ন হাতিয়া দ্বীপে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সংস্থা ত্রাণ পূনর্বাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ দ্বীপাঞ্চলে কর্মসংস্থান ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই সংস্থা বিগত দু’দশক ধরে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার দরিদ্র পরিবারের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অগ্রগন্য ভূমিকা পালন করছে। 
এখানে উল্লেখ্য, সমৃদ্ধি কর্মসূচি একমাত্র কর্মসূচি যেটি বাংলাদেশ সরকার পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফ এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে। 

মো. রফিকুল আলম আরও বলেন, দেশের প্রায় ৪০০টি ইউনিয়নে এই কর্মসূচি     বাস্তবায়িত হচ্ছে। দ্বীপ ‍উন্নয়ন সংস্থা সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নোয়াখালী জেলার চানন্দী, ধানসিঁড়ি ও নিঝুম দ্বীপ এই তিনটি ইউনিয়নে তিনবছর ধরে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। 
এই ইউনিয়নগুলোর প্রায় সবাই নদী সিকস্তি পরিবার। দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা খাসজমি বণ্টন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থেকে এখানকার বেশিরভাগ নদী ভাঙা পরিবারকে ২ একর করে খাসজমি বন্দোবস্ত পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল। সেই নদীভাঙা মানুষগুলোর নতুন বসতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে সমৃদ্ধি কর্মসূচি। এখানে এক একটি পরিবার এক একটি সমৃদ্ধি পরিবার। সমৃদ্ধি পরিবারগুলোর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, চক্ষুশিবির, স্যাটেলাইট ক্লিনিক পরিচালনা, প্রবীণ পূণর্বাসন, যুব নারী ও পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন আয়বর্ধনমূল কাজে সহায়তা দিয়ে আসছে এ সংস্থা। আজ সকল পর্যায়ে দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার এই কার্যক্রম ও অর্জন প্রশংসিত হচ্ছে। পিকেএসএফ এর এই কর্মসূচির অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, সমৃদ্ধি কর্মসূচি একটি সামগ্রিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা। এই প্রচেষ্টা সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি সমৃদ্ধি কমসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মীদের ধন্যবাদ জানান ও এই কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদাত্ত আহবান জানান।

সভায় তিনটি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে  মো. নুরুন্নবী ও দোলন মজুমদার নিঝুম দ্বীপ, চানন্দী ইউনিয়ন থেকে মো. শফিক, রোমানা আক্তার, মো. আতিকুল্লাহ বেলাল ও মোহাম্মদ সাবের উদ্দিন এবং ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন থেকে মো. দুলাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন তুহীন ও নিলুফা আক্তার কর্মসূচির কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতি উপস্থাপন করেন। সভায় উপস্থিত শিক্ষক ও স্বাস্থ্য সহকর্মীগণ সভায় এই কাজ করতে গিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

সংস্থাটির প্রকল্প পরিচালক মো. আহসানুল করিমের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প পরিচালক  মো. তামজিদ উদ্দিন, সোহেল, রিসার্স ও ডকুমেন্টেশন সমন্বয়কারী বাসন্তি সাহা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন সমন্বয়কারী মো. হুমায়ুন কবীর। সভায় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এএল/

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ