• ঢাকা শুক্রবার
    ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

তুমব্রুর পর এবার উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ০৮:৪৩ পিএম

তুমব্রুর পর এবার উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের পর এবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে এবার গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এমনকি শব্দ হচ্ছে মর্টারশেল নিক্ষেপেরও। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার পর মর্টার শেলের মতো ভারী অস্ত্রের গোলার শব্দ শুনা যায়। আর এই শব্দে কেঁপে ওঠে পালংখালী এলাকা। জানান স্থানীয়রা জানান, থেমে থেমে এখনও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে ।

উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘুমধুম সীমান্তের পর এবার নতুন করে আমার ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে মায়ানমারের ওপারে ভারী গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্তের মানুষজন যেন ভয়ে না থাকে, সেজন্য তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে। বিষয়টি সীমান্ত বাহিনীকে জানানো হয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় আছি। সকালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে আমার এক ইউপি সদস্য কল করে জানান। পরে আমি বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব জানান, ‘সকালে উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার কথা স্থানীয়রা অবহিত করেছে। এখানে সীমান্তের ৩’শ মিটারের ভেতরে প্রায় ১’শ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদের খোঁজ খবর রাখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

পালংখালী আঞ্জুমান সীমান্তের বাসিন্দা খালেদা বেগম বলেন, ‘এত দিন পত্রিকায় ও টেলিভিশনে শুনেছি সীমান্তে গোলাগুলি চলছে। আজ সকালে আমাদের আঞ্জুমান সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের এলাকার মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।’

তবে এ বিষয়ে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে মিয়ানমার থেকে দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক মাসের বেশি সময় ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’র লড়াই চলছে। ওয়ালিডং ও খ্য মং সেক পাহাড়ে আরাকান আর্মির স্থাপনা ধ্বংস করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মর্টার শেল নিক্ষেপ করছেন। ফলে সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। এ ঘটনায় সীমান্তের তিনশত পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে।

 

এআরআই

আর্কাইভ