• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ০৮:০৩ পিএম

জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠি

সিটি নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু সীমান্তে কয়েক দফায় মর্টারশেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা ইকবাল নামক একজন নিহত হয়। ফলে নিরাপত্তা সংকটে সেখানকার রোহিঙ্গা বাসিন্দাদের। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে মর্টারশেল হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা ।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মর্টারশেল হামলায় রোহিঙ্গা কিশোর ইকবাল হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়।

এ সময় বক্তব্যে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, ‘শুরুর দিকে মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) গোলাগুলি-সংঘর্ষ শুরু হলেও এখন তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) গোলাগুলি করে পরিস্থিতি অশান্ত করছে। এই অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে ৬২১টি পরিবারের ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে, যারা গত পাঁচ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে।’

সমাবেশের বক্তব্যে রোহিঙ্গা নেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে শূন্যরেখায় পরিকল্পিতভাবে মর্টার হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের মিলেটারিরা। তারা চায় আমরা এখান থেকে সরে যাই। কিন্তু আমরা যাব না। যদি যেতেই হয়, শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা হেঁটে পাহাড়ের অপর প্রান্তে রাখাইনে নিজেদের ভিটায় ফিরবো।’

সমাবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়ে লেখা চিঠি পাঠ করেন শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুখপাত্র দিল মোহাম্মদ।

চিঠি প্রসঙ্গে দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘২০১৭ সালে সামরিক জান্তা ৮ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে। আমরা চিঠিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছি, সামরিক জান্তা বাহিনী যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ওপর আরও বড় আক্রমণ করতে পারে।’

চিঠিতে এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতিসংঘকে শূন্যরেখার আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান দিল মোহাম্মদ।

এই চিঠি জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিন মং বলেন, ‘আমরা শূন্যরেখায় বাস করা রোহিঙ্গাদের নিয়ে চিন্তিত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উসকানিমূলক আচরণে তারা ভয়ে ও আতঙ্কে আছে। তারা ইতিমধ্যে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত নীরবতা ভেঙে এ বিষয়ে সরব হওয়া।’

প্রসঙ্গত, গত জুলাই থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সে দেশের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে চলা সংঘাতে অস্থির হয়ে উঠেছে রাখাইন রাজ্য।

সংঘাতের প্রভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে, তিন দফায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপিত মর্টারশেল পতিত হয়েছে ঘুমধুমে।

সর্বশেষ এক রোহিঙ্গা নিহত ও ছয়জন আহত হওয়ার ঘটনা উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের।

এআরআই

আর্কাইভ