প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ১০:৪৫ পিএম
সরকারিভাবে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ফিরোজ আলী খন্দকার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকা থেকে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ৪৫ বছর বয়সী ফিরোজ আলী খন্দকার গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার নোয়াদা এলাকার মৃত মোকসেদ আলী খন্দকারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা এলাকায় একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি নিজেকে বাগেরহাট সদর উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দিতেন। এ বিষয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহামুদ হাসান।
তিনি বলেন, ‘আটক ব্যক্তি বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তিকে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে কানাডা, রোমানিয়া, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নেয়ার কথা বলে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন। এ বাবদ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এ ছাড়া তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য বাগেরহাট থেকে ২২০ জনকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশ নেয়া হবে বলে প্রচার চালাতে থাকেন। এ জন্য তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে ব্লাংক চেক জমা দিতে বলেন এবং পরবর্তীতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দেন।
সদর উপজেলার মুক্ষাইট এলাকার চা দোকানি আলামিন হোসেন জনি নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, কিছুদিন পূর্বে ফিরোজ খন্দকারের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সে আমাকে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হলে অনলাইন আবেদন, মেডিকেল টেস্ট ওপুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবদ আমার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নেয়। পরে তার দেয়া একটি একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে বললে আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি আমাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। আমাদের এলাকার আরও অনেকের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছে সে।
এএল/