প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০৮:১৬ এএম
পুলিশের মামলা তদন্তকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধা মা-বাবা ও ছোট ভাইকে বেধড়ক পিটিয়েছে ১৭ মামলার আসামি সন্ত্রাসী পুত্র। আহতরা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঈদগাঁও উপজেলারপোকখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত পিতা বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম ও মাতা নুর আয়েশা বেগম অভিযোগ করেন, তাদের ছেলে আজিজুল হক রুবেল প্রকাশ ওরফে কাটা রুবেল দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতা ও নাশকতার মামলাসহ পিতা, মাতা ও ভাই বোনকে অমানবিক নির্যাতনের দায়ে ১৭টি মামলা রয়েছে। প্রতিদিনের নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বোনকে বেধড়ক মারধর ও অমানষিক নির্যাতন করার কারণে আদালতে মামলা করা হয়। ওই মামলা নিয়ে বাড়িতে যায় পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা। এই তদন্তকে কেন্দ্র করে রোববার বিকালে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বৃদ্ধা মা-বাবা ও স্কুল পড়ুয়া ভাইকে বেধড়ক মারধর করে।
জানা গেছে, আজিজুল হক রুবেলের বিরুদ্ধে রামুর মন্দির জ্বালিয়ে দেয়া, সড়কে গাড়ি ভাংচুর, নাশকতা, ডাকাতির প্রস্তুতি, নারী নির্যাতন, মারামারি ও বন মামলাসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত মা-বাবা, বোন ও ভাইদের ওপর অকারণে নির্যাতন চালানোর দায়েও রয়েছে আরও কয়েকটি মামলা।
বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম জানান, তার অবাধ্য ছেলে সন্ত্রাসী রুবেলের কারণে যে কোনো মুহূর্তে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে। কারণ থানা, কোর্টসহ তার বিরুদ্ধে বিচার চাওয়ার স্থান বাকি নেই। কয়েকদিন জেলে থাকলেও পরে জামিনে এসে আরও বেপরোয়া হয়ে যায়। সর্বশেষ তার অত্যাচার থামাতে স্থানীয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহম্মদও শালিশী বৈঠক করেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের বিচার না মেনে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে।
তিনি আরও জানান, রুবেল গত চার বছর আগে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে মা-বাবা থেকে পৃথক হয়ে বসবাস করছে। এই সন্ত্রাসী রুবেল তার কলেজ পড়ুয়া বোন সাদেকাকে প্রবাসী এক বার্মাইয়াকে বিয়ে দিয়ে মোটা অংকের বাণিজ্য করতে চেয়েছিল। সেখানে সে সুযোগ করতে না পেরে দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
ছেলে রুবেলের ব্যাপারে মা নুর আয়েশা জানান, রুবেলের অত্যাচার নির্যাতন দেখলে মনে হয় কিয়ামতের আলামত চলে এসেছে। তার বিরুদ্ধে থানা পুলিশে অভিযোগ করেও কোনো প্রকার প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বদা পিতা-মাতাসহ বোন ও ভাইয়ের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, তার অবাধ্য ছেলে রুবেল অমানুষ হয়ে উঠেছে। রুবেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান আছে। এ সব মামলার তদন্তকে কেন্দ্র করে রোববার বিকালে তার নেতৃত্বে ইসমাইল, আবুল হোসেন ও তার ছেলে জয়নাল, স্ত্রী খুর্শিদা বেগম ও ইসমাইলের স্ত্রী তসলিমা আক্তার এই মারধর ও হামলার ঘটনা ঘটায়।
এ বিষয়ে জানতে রুবেলকে কল করা হলে সে ব্যস্ততা দেখিয়ে পরে কথা বলবে বলে ফোন রেখে দেয়।
জেইউ