প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০১:৪৩ এএম
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দাফনের আড়াই মাস পর রাশেদ শেখ (১৬) নামের এক কিশোরের মরদেহ উত্তোলন করেছে প্রশাসন। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের তরফ পাহাড়ী গ্রামের পারিবারিক কবর থেকে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়। রাশেদ শেখ ওই গ্রামের আনোয়ারুল শেখের ছেলে।
কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেখারুল রহমান ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বজনরা জানায়, ওই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ও রাশেদ শেখ দুজন মিলে একটি মোবাইল ফোন কেনে। এরপর একই মেয়ের সঙ্গে দুইজনের প্রেম-ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। এরই জেরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। একপর্যায়ে গত ৫ জুলাই রাত ৯ টার দিকে রাশেদকে ডেকে নেয় সাজ্জাদ। এরপর কিলঘুষি ও শ্বাসরোধ করে রাশেদকে হত্যা করে। হত্যার বিষয়টি গোপন রেখে রাশেদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে তাকে দাফন করা হয়। এতে নিহতের স্বজনদের সন্দেহ হলে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আদালতের নির্দেশে রাশেদের মরদেহ করব থেকে উত্তোলন করেছে প্রশাসন।
মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ পবিত্র কুমার। তিনি বলেন, `রাশেদ শেখের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে তার ভাই তুহিন শেখ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আদালতের নির্দেশে রাশেদের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ফরেনসিক রির্পোটের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়েছে।`
এআরআই