প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ১১:৩৯ পিএম
বরগুনা সদর উপজেলায় নতুন ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ কদমতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শোকের মাতম বইছে পুরো জেলা জুড়ে।
নিহতরা হলেন শাজাহান পহলানের ছেলে বেলায়েত পহলান (২৫), হারুন হাজীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. হেলাল (৩৫) এবং জলিল মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম (১৪)। গুরুতর আহত অপর একজন হলেন নিজাম খানের ছেলে আরিফ (২০)। সম্পর্কে তারা সবাই মামাতো ও ফুফাতো ভাই ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, হারুন হাজীর ছেলে হেলাল দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। গত সপ্তাহে বাড়ি আসেন তিনি। এরপর নতুন পাকা ঘর নির্মানের কাজ শুরু করেন। আজ দুপুরের দিকে মামাতো ভাই বেলায়েত, ফুফাতো ভাই রবিউল ও আরিফকে নিয়ে পুরনো ঘরটি অপসারণ করতে যান। এ সময় পাশে থাকা বিদ্যুতের সংযোগ ছিড়ে ঘরের টিনে লেগে যায়। তাৎক্ষণিক তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তাদেরকে বাচাতে ছুটে যায় আরিফ এবং তিনিও আহত হন। ঘটনাস্থলেই বেলায়েত, হেলাল ও রবিউল মারা যায়। আরিফকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। এ ঘটনায় পুরো বরগুনা জুড়ে শোকের মাতম বইছে।
নিহত প্রবাসী হেলালের মামা সোবাহান পহলান বলেন, ‘হেলাল নতুন ঘর তোলতে বাড়ি আইছে। ওর মামাতো ফুফাতো ভাইরা ওরে সাহায্য করার জন্য যায় ওর ধারে। আল্লাহ ওগো লইয়া গেছে মোরা পোস্টমাডাম করতে চাই না মোগে পুতেগো মোগে দিয়ে দেন।’
ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন বলেন, ‘নতুন ঘর নির্মান করতে গিয়ে একসঙ্গে তিন জনের প্রাণ গেল। এরাই পরিবারের উপার্জনক্ষম ছিলেন। তাদের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ পরিবারগুলো। খবর শোনার পর থেকে বরগুনার জেলা প্রসাশক সার্বক্ষনিক খোঁজ নিচ্ছেন। এবং প্রতিটি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, ‘সদর থানার ওসিসহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি৷ পুরাতন ঘর অপসারণ করতে গিয়ে তারা একইসঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এআরআই