প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২, ০৭:১৭ এএম
কিশোরগঞ্জে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভায় পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল ৫টায় বর্ধিত সভা শুরু হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করার সময় শুরু হয় পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়া।
একপর্যায়ে শামীম আহম্মেদ সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় শিল্পকলা একাডেমির গেইটে শরীফুল ইসলামের পক্ষের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শামীম আহম্মেদের লোকজনের হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শামীম আহম্মেদসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারাও মঞ্চ ত্যাগ করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সভায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ-প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ডা. উম্মে সালমা মুনমুন, উপ-পাট ও বস্ত্র বিষয়ক সম্পাদক তারেক মাহমুদ চৌধুরী পাপ্পু, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল কাফি মণ্ডলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করার সময় সভাপতি গ্রুপের লোকজন হট্টগোল শুরু করে। আমি সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সময় শিল্পকলার গেইটে তারা আমার ওপর হামলা করে। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাগত বক্তব্য দিয়ে আসরের নামাজ পড়তে মসজিদে চলে যাই। ফিরে এসে দেখি সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। যারা কাজটি করছে, ঠিক করেনি। শামীম আমার ছোট ভাই। যারা তার ওপর হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। আভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেইউ/এএল