প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২, ০৬:৪৪ পিএম
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের হাটকড়ই গ্রাম নিবাসী আব্দুল জব্বার এক সময় পল্লী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি একজন সফল মাল্টা চাষী। ২০২০ সালে ব্যক্তিগত জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন তিনি। সেখানে এখন শোভাবিস্তার করছে বিশাল এক মাল্টা বাগান।
জানা গেছে, আব্দুর জব্বার উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে দুই বিঘা জমিতে মাল্টা চারা রোপণ করেন। দুই বছরের মাথায় তার বাগানে ভালো ফলন এসেছে। কোনো গাছে ১৫০টি, কোনো গাছে ২৫০টিও ফল ধরেছে। কেজিপ্রতি ১১০-১২০ টাকা দরে গত দেড় মাস থেকে এ পর্যন্ত আড়াই টন মাল্টা বিক্রি করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত আয় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষী সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষে উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলনের পাশাপাশি উৎপাদিত মাল্টা খেতেও সুস্বাদু হয়। এতে দামও ভালো পাচ্ছেন চাষীরা। এ কারণে দিন দিন বাড়ছে মাল্টাচাষির সংখ্যা। এ পর্যন্ত মোট চার হেক্টর জমিতে মালটাবাগান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ চাষিই বারি-১ ও ভিয়েতনাম জাতের মাল্টার চাষ করছেন।
মাল্টাচাষী আব্দুল জব্বার বলেন, এ ফল চাষের প্রধান সুবিধা হলো রোপণের দুই বছরের মধ্যেই ফল চলে আসে। দেশে প্রচুর চাহিদা থাকার কারণে মাল্টা বিক্রিতেও ঝামেলা নেই। ব্যবসায়ীরা সরাসরি বাগান থেকেই ফল কিনে নিয়ে যান। লাভজনক হওয়ায় ভবিষ্যতে বাগান আরও বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, অনেকেই মালটা বাগানে পেঁপে, কমলাসহ বিভিন্ন ফলের চারা রোপণ করে মিশ্র বাগান তৈরিরও চেষ্টা করছেন। এতে মাল্টা চাষের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে চাষীদের জন্য। জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আদনান বাবু বলেন, মাল্টা চাষী আব্দুল জব্বারকে দেখে এখন অনেকে চাষ করছেন। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ এই ফলের চাহিদাও ব্যাপক। তিনি আশা করছেন, একসময় এই উপজেলায় মাল্টা চাষে বিপ্লব ঘটবে।
জেডআই/এএল