প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২, ০৪:৩২ এএম
আবারও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে । টানা কয়েকদিন সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে হঠাৎ ভেসে আসে গোলাগুলির শব্দ।
তুমব্রু বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আবছার জানান, বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ পর্যন্ত মিয়ানমারের ছোঁড়া প্রায় ৪৬টি ভারী গোলাবারুদের শব্দ শোনা যায়। হঠাৎ এত গোলাগুলির কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলি চলছে৷ মর্টার সেলসহ ভারী অস্ত্রের গোলাবারুদের শব্দে নির্ঘুম রাত কাটছে স্থানীয় বাংলাদেশীদের। ওপারে গোলাগুলির কারণে এপারে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
থাইল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ ইরাবতির খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ চলছে৷ সম্প্রতি সেই সংঘর্ষ আরো বেড়ে গেছে। উভয়পক্ষের হতাহতের খবরও প্রচার হচ্ছে গণমাধ্যমে।
আরাকান আর্মির সাথে সে দেশের সেনাবাহিনীর মূল সংঘর্ষ চলছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। এর ফলে এই সংঘর্ষের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে।
তুমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল হক জানান, গোলাবারুদের শব্দে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের উড়াউড়ির কারণে মানুষ সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকে। প্রায় সময় আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিমানগুলো উড়তে দেখা যায়।
তিনি জানান, গত ২৮ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় ৪টি মর্টার সেল এসে পড়েছিল তুমব্রু উত্তরপাড়া ও বাইশফাঁড়ি এলাকায়।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ মুঠোফোনে জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত একটানা গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে আগে সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় গোলাগুলি হতে দেখা গেলেও আজ গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে সীমান্ত থেকে কিছুটা দূরের এলাকায়। মনে হচ্ছে তারা সীমান্ত থেকে সরে কিছুটা দূরে চলে গেছে।
এআরআই