প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২, ০১:০৯ এএম
নড়াইলে এসএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয়পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়েছে। কালিয়া উপজেলার প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও নড়াগাতী থানার বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দেশের অনান্য স্থানের মত নড়াইলেও এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। জেলার ৩টি উপজেলায় ১৮টি কেন্দ্রে মোট ১০ হাজার ২২৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী অংশ নেন।
এদিন কালিয়া প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ১০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে বাংলা প্রথমপত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। এরপর বিষয়টি পরীক্ষার্থী ও কক্ষ পরিদর্শকদের নজরে আসে। এছাড়া বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৫টি প্রশ্ন সরবরাহের পর বিষয়টি নজরে আসলে কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন দেয়া বন্ধ করে দেন।
এদিকে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রশ্ন সরবরাহের আগেই বিষয়টি নজরে আসে বলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
কালিয়া প্যারী শংকর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব দীপ্তিরানী বৈরাগী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের ওপরে বাংলা প্রথমপত্রের কোড লেখা থাকার কারণে বিষয়টি খেয়াল না করেই প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জানতে পেরে দ্রুত সেগুলোকে গুছিয়ে নেওয়া হয়। পরে বাংলা প্রথমপত্রের অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র দিয়ে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু হিরা জানান, ‘১৫টি প্রশ্ন সরবরাহের পর বিষয়টি নজরে আসলে কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন দেওয়া বন্ধ করে দেন। পরে তা গুছিয়ে নেয়া হয়।’
লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব সুভাষ চন্দ্র কুণ্ড বলেন, ‘আমাদের এখানে সরবরাহকৃত একটি প্যাকেটে প্রথমপত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয়পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন ছিল। এ প্যাকেটে ১০০টি প্রশ্ন ছিল। পরীক্ষার্থীদের হাতে দেওয়ার আগেই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে।’
এ ব্যাপারে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কালিয়ায় সরবরাহকৃত প্যাকেটের উপর বাংলা প্রথমপত্র লেখা থাকলেও ভেতরে দ্বিতীয়পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন পাওয়া গেছে। কক্ষ পরিদর্শকরা এ প্রশ্ন বিতরণ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে সবার কাছ থেকে তা গুছিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ছায়েদুর রহমান জানান, নড়াইল জেলার ৩টি উপজেলায় ১৮টি কেন্দ্রে মোট ১০ হাজার ২২৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। কালিয়া উপজেলার বাঐসোনা কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্রের মধ্যে দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বিজি প্রেসের ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয় অবগত করানো হয়েছে।
এআরআই