• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০৮:৪২ পিএম

জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশজুড়ে ডেস্ক

জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ব্যবসাও করতে দেয়া হবে না। ইতিমধ্যে প্রায় দুই হাজার অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান, যারা সেবা দিয়ে থাকে তারা যদি সঠিক নিয়মে সেবা না দেয় তাহলে আমরা তাদের কাজ করতে দেব না। জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে, ব্যবসা করবে এটা আমরা হতে দেব না।’

কাগজে-কলমে বন্ধ থাকলেও বাস্তবে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক চলছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা সেটা দেখব। যেগুলো সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকার কারণে বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো যদি আবারও পূরণ না করে থাকে তাহলে সেটা বন্ধ করে রাখা হবে, বন্ধ করে দেয়া হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানকে যে কারণে বন্ধ করা হয়েছিল, সেই কারণগুলো যদি আবার শুরু করে তাহলে বন্ধ করার ব্যবস্থা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারি কিছু নিয়মনীতি আছে। স্বাস্থ্যসেবার কোনো প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন পরিচালনা করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রায় দুই হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা যদি লাইসেন্স নবায়ন করে তাদের যদি সঠিক যন্ত্রপাতি-জনবল থাকে তাহলে তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে। ইতিমধ্যে যারা শর্ত পূরণ করেছে তাদের আবার পরিচালনা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। শর্ত পূরণ না হলে দেয়া হবে না।’

ডা. জাহিদ মালেক জানান, বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে জনবলের কিছু সংকট দেখেছেন। আউটসোর্সিং ও নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য বলেছেন। হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী থাকেন। সে জন্য ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে।

রাজশাহী সদর হাসপাতাল দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ। এখন সেখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনার সময় হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। শুরু হয় সংস্কার কাজও। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা স্বত্বেও হাসপাতালটি চালু হয়নি।

এ হাসপাতাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সদর হাসপাতালটি আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটেরও কার্যক্রম থাকবে। কীভাবে কী করা যায় সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি। এখন সবার সঙ্গে মতবিনিময় করব।’

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেডআই/

আর্কাইভ