প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০২:৫১ এএম
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পানির কূপ থেকে আয়েশা খাতুন (২) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মা বাবাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তারা হলেন, হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের গিলাবই গ্রামে বাদশা মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (২৮)।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক তাজুল ইসলাম সোহাগ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চীফ জুডিশিয়াল আদালতের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে নিজের শিশু সন্তানকে হত্যার কথা বিচারকের কাছে স্বীকার করে তার বাবা মা। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহত শিশুর দাদি জুবেদা খাতুন বাদী হয়ে নিজের ছেলে বাদশা মিয়া ও তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনকে আসামী করে হালুয়াঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হালুয়াঘাট থানার পরিদর্শক শাহীনুজ্জামান খান বলেন, এদিন দিন সকালে স্থানীয়রা পানির কূপে শিশু আয়েশা খাতুনের মরদেহ ভাসতে দেখে ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ১০ ফুট গভীর ওই কূপ থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। এই ঘটনার পর নিহত শিশুর মা আম্বিয়া খাতুন, বাবা বাদশা মিয়া ও মামা তোফাজ্জল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আম্বিয়া খাতুন জানায়, গত সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে নিজেদের শিশু সন্তান আয়েশা খাতুনকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে শিশুর বাবা বাদশা মিয়া ঘটনা ধামাচাপা দিতে পানির কূপে ফেলে দিয়ে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সকালের দিকে পানির কূয়ায় শিশু আয়েশা খাতুনের মরদেহ দেখে ৯৯৯`এ কল দিয়ে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।’
শাহীনুজ্জামান খান বলেন, ‘নিজের শিশু সন্তানকে হত্যার পর শিশু দাদি বাদী হয়ে আম্বিয়া খাতুন ও বাদশা মিয়াকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে, এই ঘটনায় মামা তোফাজ্জল হোসেনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
এআরআই