প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ১১:১৯ পিএম
বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে সিরাজগঞ্জের ৭ উপজেলায় বসানো হয়েছে বজ্র নিরোধক যন্ত্র। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ৩০ ফুট উঁচু স্টিলের খুঁটির অগ্রভাগে এসব যন্ত্র বাসানো হয়েছে। প্রতিটি যন্ত্রে খুঁটির চারপাশে তিনশ ফিটের মধ্যে বজ্রপাত হলে তাতে মানুষের কোন ক্ষতি হবে না। এতে বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে মানুষ। সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ৪টি, বেলকুচিতে ২টি, উল্লাপাড়ায় ২টি, তাড়াশে ২টি, কাজীপুরে ২টি ও সদর উপজেলা দুটি বজ্র নিরধক যন্ত্র বসানোর কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্না হয়েছে।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে জেলার ৭টি উপজেলায় বজ্র নিরধক যন্ত্র বসানো হচ্ছে এতথ্য নিশ্চিত করে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে দেশে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে সিরাজগঞ্জ সহ দেশের ১৬ জেলায় বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানোর কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানো হবে। এই যন্ত্রের চারপাশে ৩শ ফিট এলাকায় বজ্রপাত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন বা অন্য কোন প্রাণীর কোন ক্ষতি হবে না।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মে-জুন মাসে বজ্রপাতে জেলায় ২৪ জন নারী পুরুষের মৃত্যু হয়। একারনে সিরাজগঞ্জ জেলাকে বজ্রপাতের হস্পপট ঘোষনা করা হয়। এর মধ্যে শাহজাদপুরে ৯ জন, উল্লাপাড়ায় ৫ জন, তাড়াশে ২ জন, কাজীপুরে ৩ জন, কামারখন্দে ১ জন, রায়গঞ্জে ১ জন, বেলকুচিতে ১ জন, সলঙ্গায় ১ জন ও এনায়েতপুরে ১ জনের মৃত্যু হয়।
চলতি বছরের (২০২২ সালে) ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এর মধ্যে ৮ সেপ্টেম্বর উল্লাপাড়া উপজেলার প কোশি ইউনিয়নের মাটিকোড়া গ্রামে বজ্রপাতে একই পরিবারের ৫ জন সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ২৯ জুলাই কাজীপুরে ২ কৃষক, ৩০ জুলাই তাড়াশে এক নারী, ১ আগষ্ট কামারখন্দ ও সলঙ্গায় ২ জনের মৃত্যু হয়।
জেডআই/