প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ১১:০৩ পিএম
ধামরাইয়ে ৯ বছর পর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের
দীর্ঘ ৯ বছর পর আগামীকাল বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রী-বার্ষিক সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনের জন্য নির্ধারিত স্থান ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চ ও সমাবেশস্থল গোছানোর কাজ প্রায় শেষ।
এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে দুটি বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সম্মেলনের স্থান নির্ধারণ করাকে কেন্দ্র করে গত ২৭ আগস্ট সম্মেলন প্রস্তুতি সভায় প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বর্তমান সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেক। সে সময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়।
তবে এ ব্যাপারে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল কাসেম রতন জানান `প্রস্তুতি কমিটির সভায় ধাক্কাধাক্কির পর বর্তমান ও সাবেক এমপির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আশা করি সম্মেলনের দিন সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটবে না। এ ছাড়া আইনশৃঙ্থলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। এরই মধ্যে সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের দেয়া তথ্যসূত্রে জানা যায়, সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন পাঁচ নেতার নাম। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্যও জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন পাঁচজন।
সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম কবির, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাইশাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেসুজ্জামান হিরু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির
সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে এম এ মালেকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ বলয়ের পৌরমেয়র গোলাম কবির।
এ ব্যাপারে এম এ মালেক বলেন, "দলের জন্য ও এলাকার উন্নয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছি। আশা করছি, দল থেকে আবারও আমাকেই সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করবে।
অন্যদিকে গোলাম কবির বলেন, "দলের দুর্দিনে সকল ধরনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থী হয়ে পরপর দুইবার পৌরমেয়র নির্বাচিত হয়ে ধামরাই পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, দল থেকে সেই কাজের মূল্যায়ন পাব।"
অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যারা
আলোচনায় আছেন তারা হলেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাথাওয়াত হোসেন সাকু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাদ্দেছ হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সানোড়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু এবং উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক ও সাবেক বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন।
তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতামত মূল প্রতিন্বন্দ্বিতা হবে সাখাওয়াত হোসেন সাকু, সিরাজ উদ্দিন এবং খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর মধ্যে।
এ ব্যাপারে সাখাওয়াত হোসেন সাকু ও খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর সঙ্গে কথা হলে দুজনেই পদ পাওয়ার ব্যাপারে নিজেদের শতভাগ আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন।