প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২১, ০৮:১৪ পিএম
হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী
একজন ‘ইডিয়ট’ উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩
আসনের সংসদ সদস্য র.
আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির
চৌধুরী বলেছেন, ‘পুলিশের বড় বড় কর্তা
ব্যক্তিরাও বলছেন, আহমদ শফীর হত্যাকারীদের
মধ্যে একজন জুনায়েদ বাবুনগরী।
রাষ্ট্রের যারা আইন প্রয়োগের
দায়িত্বে আছেন, তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাবুনগরী।
তাহলে এখানে তো আইন বৈষম্যমূলক
হয়ে গেল। আমার জন্য
এক রকম, সাধারণ মানুষের
জন্য আরেক রকম আর
বাবুনগরীর জন্য আরেক রকম।
একটা অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে আছি।’
শনিবার
(১২ জুন) বেলা সাড়ে
১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত একটি বেসরকারি টেলিভিশন
চ্যানেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা
বলেন।
মোকতাদির
চৌধুরী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মোকতাদির
চৌধুরী বলেন, ‘হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কমিটি করে। সেই কমিটিতে
যারা অন্তর্ভুক্ত হয়, তারা তো
একজনও ভালো লোক হওয়ার
কথা না। তারাও অনেকে
অনেক মামলার আসামি। তাদেরকে তোয়াজ করছে রাষ্ট্রের যারা
আইন প্রয়োগের দায়িত্বে আছে তারা। এর
চেয়ে ন্যক্কার ও নিন্দাজনক আর
কী হতে পারে?’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতার
বিরুদ্ধে দেয়া এজাহার মামলা
হিসেবে নথিভুক্ত না করায় ক্ষোভ
প্রকাশ করে তিনি বলেন,
‘দেশের লাখ লাখ মানুষ
দেখেছে এবং শুনেছে জামিয়া
ইউনুছিয়া মাদরাসার লোকেরা আমার বিরুদ্ধে কী
বলেছে। আমার নেতৃত্বে নাকি
ছাত্রলীগ-যুবলীগ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলা চালিয়েছে। আমি নাকি পাখির
মতো মানুষ মেরেছি। আমি একজন এমপি,
একজন দায়িত্বশীল মানুষ। আমি একটা মামলা
করেছি, সেই মামলার এজাহারে
দেয়া ফেসবুক লিংক নাকি সিআইডি
খুঁজে পায় না। এখন
আইন বৈষম্যমূলক হয়ে গেছে। আইন
সবার জন্য সমান নয়।’
তিনি
আরও বলেন, ‘আইন যতক্ষণ পর্যন্ত
সবার জন্য সমানভাবে ব্যবহৃত
না হবে, ততক্ষণ সভ্যতা
বিপন্ন থাকবে। রাষ্ট্রের যতই উন্নতি হোক,
এই উন্নতি একদিন মুছে যাবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ইউনিয়নের
আহ্বায়ক মো. মনির হোসেনের
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির,
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দফতর) আবু
সাঈদ, জেলা আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমুখ।
ডব্লিউএস/এম. জামান